

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ঘিরে ধোঁয়াশা যেন কাটছেইনা। দফায় দফায় প্রস্তাব পাল্টা প্রস্তাবে বিসিবি-পিসিবি কাটাচ্ছে ব্যস্ত সময়। বাংলাদেশ চায় সংক্ষিপ্ত সময়ের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসতে, পাকিস্তানের নতুন প্রস্তাব টি-টোয়েন্টি নয় অন্তত টেস্ট খেলে আসুক বাংলাদেশ। যাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে এত জলঘোলা সেই ক্রিকেটাররাই তৈরি করেছে খানিক জটিলতা। পাকিস্তান সুপার লিগের নিলামে উঠতে নিবন্ধন করেন ২৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
এদিকে বাংলাদেশের জার্সিতে লম্বা সময়ের জন্য পাকিস্তান সফরে যেতে অনীহা বেশিরভাগ ক্রিকেটারের। ক্রিকেটারদের এমন অনীহা পাকিস্তান বোর্ডকে জানায় বিসিবি, তখনই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় তারা। প্রায় দেড় মাস ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর ঘুরে পিএসএল খেলার আগ্রহ ছিল কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে ওই ক্রিকেটারদের আগ্রহ না থাকার কারণ কি?
আদৌতে এমন প্রশ্নের সুযোগ ক্রিকেটাররাই করে দিয়েছেন, সেক্ষত্রে দিন দুয়েক আগে কারণ জানতে চাওয়া হলে নিবন্ধন করা এক ক্রিকেটার জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে জানান, ‘প্রথমত আমরা আমাদের এজেন্টদের মাধ্যমে নিবন্ধনভূক্ত হই। তারাই আমাদের পক্ষ থেকে সব আয়োজন সম্পন্ন করে। পরে অবশ্য আমরা জানাই আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকায় খেলতে পারবোনা।’
পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে গতকাল (৮ জানুয়ারী) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আলোচনায় বসেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে। যেখানে মুশফিকুর রহিমের পাকিস্তান সফর নিয়ে আগের মতই দেখিয়েছেন অনাগ্রহ। এমনকি পিএসএলের নিলামের জন্য নিবন্ধন করা ২৩ ক্রিকেটারের তালিকাতেও ছিলনা তার নাম। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, ইমরুল কায়েস, অলক কপালি, আবু হায়দার রনিরা দেখিয়েছিলেন আগ্রহ। যদিও নিলাম থেকে কেউই পায়নি দল।
যেখানে জাতীয় দলের হয়ে যেতে অনাগ্রহ সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগ খেলতে যাওয়ার আগ্রহ কেন দেখিয়েছে ক্রিকেটাররা এমন প্রশ্ন বিসিবির তরফ থেকেও করা হয়। ক্রিকেটারদের উত্তর জানাতে গিয়ে নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসলে ওরকম কোনো জবাব পাইনি। একেকজনের একেক কথা। তারা যা বলেছে তাতে চূড়ান্ত কিছুতে আসা যায়না। ওরা বলছে নাম পাঠিয়েছি বলেই কি সিলেক্ট হয়ে যাব? আর দল পেলেও বিসিবির এনওসি নিতে হবে। লম্বা প্রক্রিয়া। সব প্রক্রিয়া শেষে যাবো কি যাবো না, বিসিবি এনওসি দেবে কি দেবে না সেটা দেখা যেত। এ কারণে নাম দেওয়ার দরকার দিয়ে রেখেছিলাম।’