

গত ২১ অক্টোবর মিরপুর একাডেমি মাঠে প্রায় শ’খানেক ক্রিকেটারের উপস্থিতিতে ১১ দফা দাবি নিয়ে হাজির সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। যার বেশিরভাগ দাবিই ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য, দফায় দফায় বৈঠকের পর সমঝোতার ভিত্তিতে দিন দুয়েকের ব্যবধানে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস বিসিবি সভাপতির। তখন চলমান জাতীয় লিগ দিয়েই বেশিরভাগ দাবি বাস্তবায়নও করতে শুরু করে বিসিবি।
কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের চুক্তির সংখ্যা বাড়ানো ও ক্রিকেটার কল্যাণ সংগঠন বাংলাদেশ (কোয়াব) এর নেতৃত্বে বর্তমান ক্রিকেটারদের আধিপত্য বিস্তার ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। নতুন চুক্তির আগে সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয় বলে দাবিটি পূরণে লাগছে সময়। অন্যদিকে কোয়াবের নেতৃত্বে নতুন কাউকে আসতে হলে একটা প্রক্রিয়া মেনেই আসতে হয় ফলে এখানেও লাগছে কিছুটা সময়।
আগামী সপ্তাহে বিসিবির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের চুক্তির বিষয়গুলোও আলোচনা হওয়ার কথা। বোর্ড পরিচালক ও কোয়াবের বর্তমান সভাপতি নাইমুর রহমান দূর্জয় আজ (৭ জানুয়ারি) দুপুরের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান চুক্তিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে এবং তিনি নিজে ক্রিকেটারদের দাবি দাওয়ার পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এগুলোতো আসলে বোর্ড মিটিং এর সিদ্ধান্ত। সামনে বোর্ড মিটিং আছে, এজেন্ডা আছে কিনা জানিনা। কিন্তু এই জিনিসগুলোতো অবশ্যই আলাপ আলোচনার মধ্যে আছে প্লেয়ারদের দাবিদাওয়া যেসব ছিল। এগুলো পূরণ হওয়া উচিত আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। সুতরাং সেক্ষত্রে ৮০ জন যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার আছে বেতনভুক্ত এই সংখ্যাটা প্লেয়াররা সবসময় দাবি করে বাড়ানোর।’
কিন্তু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বোর্ডও এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে ইঙ্গিত এই বোর্ড পরিচালকের,’তবে সেই সুযোগটা ক্রিকেটাররা কতটা কাজে লাগায় বা সারা বছর কিন্তু খেলেনা। বেতন কিন্তু সারা বছর পাচ্ছে, কাজেই যে কদিন খেলা থাকে ওই কদিন তাদের এভেইলএবিলিটি থাকা সত্বেও দেখা যায় যে আমরা অনেক প্লেয়ারকে দেখি অংশ নেয় না। সে ব্যাপারটাও এবার সম্ভবত আলোচনায় আসছে।’
এদিকে কোয়াবের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার যে দাবি উঠেছিল ক্রিকেটারদের তরফ থেকে সেই কার্যক্রম কতদূর এগিয়েছে জানতে চাইলে দূর্জয় বলেন, ‘আলোচনা হচ্ছে আমরা দুই তিন বার বসেছিও বর্তমান ক্রিকেটারদের সাথে। ওদেরকে আমরা অফার করেছি, গঠনতন্ত্র হ্যান্ডওভার করেছি সে অনুযায়ী কাজ করে আমাদের কাছে ফিডব্যাক দেওয়ার কথা ছিল। সে ফিডব্যাক অবশ্য এখনো পাইনি। তপবে এখনো আমরা আশায় আছি যে যেহেতু তারা চেয়েছে যুক্ত হতে কোয়াবের সাথে সে ব্যাপারে আমরা স্বাগতম জানিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত অফিসেও বসেছি তাদের সাথে, ওরা বলেছে ওরা সময় ফিক্সড করে জানাবে আমাদেরকে।’
ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগের সময়টাতেই কোয়াবের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এই বোর্ড পরিচালক যোগ করেন, ‘খুব সম্ভবত হয়তো প্রিমিয়ার লিগের সময়টাতে যেহেতু ওই সময় সবাই এভেইলএবল থাকবে। বিপিএলের সময়ও হওয়ার কথা ছিল কিন্তু খুব টাইট শিডিউল থাকে বিপিএলের সময়টাতে। এখন বলটা আসলে ওদের কোর্টে আমরা বলেছি তোমরাই আমাদের জানাও কখন বসতে চাও । আমরা বসেছি আসলে কিছু জিনিস সাংঘর্ষিকতা আছে।’
‘কোয়াব কিন্তু শুধু বর্তমান ক্রিকেটারদের অ্যাসোসিয়েশন না। এখানে সাবেক, বর্তমান এমনকি ক্রিকেট সংগঠকরাও জড়িত যারা ক্রিকেট সেভাবে খেলেনি তবে ক্রিকেট আয়োজক হিসেবে আমাদের সাথে জড়িয়ে আছেন। তো ওদের একটা যেমন ছিল প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।’