

চলতি বিপিএলের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী সিলেট থান্ডারের। প্লেয়ার ড্রাফটে কোচ হিসেবে সারোয়ার ইমরানকে হাজির করালেও দিন কয়েকের ব্যবধানে তাকে সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকান হার্শেল গিবসকে। এরপর সান্টোকিকে দলে নেওয়া না নেওয়া নিয়ে পরিচালকের সাথে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের বিভেদ। আর মাঠের ক্রিকেটেতো যাচ্ছেতাই অবস্থা, ১২ ম্যাচের মাত্র ১ টিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার সবার শেষে সিলেটের অবস্থান।
নতুন বছরের শুরুর দিনে এর কারণ হিসাবে সিলেট থান্ডারের প্রধান কোচ হার্শেল গিবস বলেছিলেন, ‘দলের অনেকেই ইংরেজি বোঝে না। ফলে আমি তাদের যেটা বলি সেটা তারা নিতে পারছেনা, প্রয়োগও হচ্ছেনা। এটা হতাশার, তাদের মাঠের পরিস্থিতি বুঝে খেলার সক্ষম হতে হবে। ক্রিকেট টেম্পারমেন্টের খেলা, আমার মনে হয় এই জায়গায় আমি তাদের বুঝাতে ব্যর্থ। তারা আমার কথাটা ধরতে পারছেনা। অন্যভাবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমি উদাহরণ হিসেবে রুবেলের কথা বলি সে ১৪ রান করেছে প্রথম ২৮ বলে। স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের সময় আমি মাঠে যাই এবং তাকে বলি কি হচ্ছে। এটা দুঃখজনক সে নিজে বুঝতে পারছেনা কি করছে! সে কেবল মাথা নাড়াচ্ছিল। এটা ২০২০ সাল শুরু হয়ে গেল, অথচ একজন ব্যাটসম্যান বুঝতে পারছেনা সে কি পরিস্থিতিতে কি খেলছে। লোকাল প্লেয়ারদের কাছে প্রত্যাশাটা বেশি করার আগে তাদের মানসিক দৃঢ়তা উন্নত করতে হবে।’
৩ জানুয়ারি ম্যাচ শেষে স্পিনার নাইম হাসান এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমার মনে হয় না (ভাষা বুঝতে সমস্যা)। জাতীয় দলের কোচরাও ইংরেজিতে কথা বলে। বুঝে নেন বাকিটা।’
আজ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে সিলেটের শেষ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিলেট থান্ডারের অধিনায়কত্ব করা আন্দ্রে ফ্লেচার। তাকেও এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়- বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটাররা ইংরেজি বোঝে কিনা।
জবাবে ফ্লেচার বলেন, ‘আমি কোচ নই। এখানকার সবার সাথে আমার বোঝাপড়াটা দারুণ। তাই কোচের কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসাটা একটু বিস্ময়কর ছিল। আমি যেমনটা বলছিলাম, ক্রিকেটার হিসাবে আমাদেরকেই আমাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। আমরা কাউকে দায় দিতে পারি না। বাংলাদেশের কোচ ইংরেজিতে কথা বলেন। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটার ইংরেজি বোঝে। তাই গিবসের এমন স্টেটমেন্টের কোন মানে খুজে পাচ্ছি না।’