

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পার্থে শুরু হয়েছিলো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও সফরকারী নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। পার্থ টেস্টে কিউইদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টেও বড় জয় তুলে নেয় অজিরা। আর সিডনিতে অজিদের নতুন বছরও শুরু হলো বড় জয়ে।
৪ দিনের মাথায় সিডনি টেস্ট জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ডের ধবলধোলাই হওয়া। সিডনিতে মারনাস লাবুশেইন-নাথান লায়নের কল্যাণে ২৭৯ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন দল।
শুরুটা করেছিলেন মারনাস লাবুশেইন। ২০২০ সালের প্রথম দ্বিশতক আসে তার ব্যাট থেকে। ২১৫ রানের ইনিংসে ভর করে অজিরা ১ম ইনিংসে করে ৪৫৪ রান। জবাবে নাথান লায়নের ৫ উইকেট শিকারে ২৫৬ এর বেশি স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারেনি কিউইরা।
১৯৮ রানের লিড সঙ্গী করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অজিরা। এ দফায় সেঞ্চুরি করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২১৫ রান করা লাবুশেইন আউট হন ৫৯ রান করে। ২ উইকেটে ২১৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।
৪১৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে স্টার্কের গতি, পরে লায়নের ঘুর্ণিতে ১৩৬ এই শেষ হয় কিউইদের প্রতিরোধ। লায়ন নেন ৫ উইকেট, স্টার্কের শিকার ৩ উইকেট।
সিরিজে ৩ ম্যাচে ৯১.৫০ গড়ে ৫৪৯ রান করা মারনাস লাবুশেইন হয়েছেন সিরিজ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংসে ৪৫৪/১০ (১৫০.১), ওয়ার্নার ৪৫, বার্নস ১৮, লাবুশেইন ২১৫, স্মিথ ৬৩, ওয়েড ২২, হেড ১০, পেইন ৩৫, প্যাটিনসন ২, কামিন্স ৮, স্টার্ক ২২, লায়ন ৬*; হেনরি ৩২-৩-৯৪-১, গ্র্যান্ডহোম ২৪-১-৭৮-৩, ওয়েগনার ৩৩.১-৯-৬৬-৩, সমারভিল ২৯-২-৯৯-১, অ্যাস্টল ৩২-০-১১১-২।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংসে ২৫৬/১০ (৯৫.৪), ল্যাথাম ৪৯, ব্লান্ডেল ৩৪, রাভাল ৩১, টেইলর ২২, ফিলিপস ৫২, ওয়াটলিং ৯, গ্র্যান্ডহোম ২০, অ্যাস্টল ২৫*, সমারভিল ০, ওয়েগনার ০, হেনরি ৩; স্টার্ক ২১-১-৫৭-১, কামিন্স ২২-৬-৪৪-৩, লায়ন ৩০.৪-১০-৬৮-৫।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংসে ২১৭/২ (৫২ ওভারে ইনিংস ঘোষণা), ওয়ার্নার ১১১*, বার্নস ৪০, লাবুশেইন ৫৯; হেনরি ১২-২-৫৪-১, অ্যাস্টল ৮-১-৪১-১।
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংসে ১৩৬/১০ (৪৭.৫), ল্যাথাম ১, ব্লান্ডেল ২, রাভাল ১২, টেইলর ২২, ফিলিপস ০, ওয়াটলিং ১৯, গ্র্যান্ডহোম ৫২, অ্যাস্টল ১৭, সমারভিল ৭, ওয়েগনার ০*, হেনরি (অ্যাবসেন্ট হার্ট); স্টার্ক ৯-৩-২৫-৩, কামিন্স ১১-৩-২৯-১, লায়ন ১৬.৫-৪-৫০-৫।
ফলাফলঃ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২৭৯ রানে জয়ী, ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরাঃ মারনাস লাবুশেইন (অস্ট্রেলিয়া)।