

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার যতটা ধারাবাহিক নন, ঠিক ততটা ধারাবাহিক বল হাতে। চলতি বিপিএলে ৯ ম্যাচে রান করেছেন ২৪৬, গড় ৩০.৭৫; স্ট্রাইক রেট ১৪৩ এর বেশি। পরিসংখ্যান বলছে একদম মন্দ নয় কিন্তু ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে বাঁহাতি এই ওপেনার যে ফর্মে নেই। টুর্নামেন্টে খেলেছেন ৮৮ রানের একটি ইনিংস, বাকি ৮ ম্যাচ থেকে এসেছে মাত্র ১৫৮ রান।
অন্যদিকে বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ১১ টি, দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়েই এনে দিয়েছে ব্রেক থ্রু। ব্যাট হাতে অধারাবাহিক এই ব্যাটসম্যান ব্যর্থতার দায় নিয়েছেন নিজের কাঁধেই। অন্যদিকে বোলিং করার সুযোগ পাওয়াকে দেখছেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও নিজেকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যম হিসেবে।
মিরপুরে আজ (৫ জানুয়ারি) কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের এই ব্যাটসম্যান নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ‘ভালো (ব্যাটিংয়ে) না করতে পারার দায়ভার অবশ্যই আমার। সর্বশেষ দুইটা ম্যাচে পাঁচ ও ছয় করেছি, আমার আরো ভালো করা উচিত ছিলো। আমি কয়েকটি ম্যাচে ৩০ বা ৪০ করেছি। অথচ ওই ইনিংসগুলো আরো বড় করা উচিত ছিলো আমার।’
ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা সৌম্য অবশ্য উপভোগ করছেন বোলিং, ‘বোলিং যেভাবে করছি, উইকেট পাচ্ছি; সব মিলিয়ে বোলিংটা উপভোগ করছি। ব্যাটসম্যান কী করতে পারে, তা চিন্তা করে বোলিং করার চেষ্টা করি।’
বল করার সুবাদে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও নিজেকে সন্তুষ্ট করার সুযোগ থাকছে বলে মনে করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, ‘নরমালি শুধু ব্যাটিং করলে যদি ব্যাটিংটা খারাপ হয়, তাহলে মনে হয় আজকের দিনটাই খারাপ গেলো। কিন্তু বোলিংটা করলে একটা আশা থাকে। মনে হয় যে আরো ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। ভালো কিছু করতে পারলে দিন শেষে একটা তৃপ্তি থাকে।’
৯ ম্যাচে ৪ জয়ে রংপুর রেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের সাথে প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন টিকে আছে কুমিল্লারও। তবে সেক্ষেত্রে বাকী তিন ম্যাচে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্যদের জয়-পরাজয়ে হিসাব নিকাশও থাকছে। প্লে-অফ নিয়ে কি ভাবছেন সৌম্য?
‘তিনটা খেলা আছে। এখন যদি চিন্তা করি সবই জিতবো, তাহলে কষ্ট হয়ে যাবে। পরের ম্যাচটা জেতাই এখন আসল ব্যাপার। এরপর পরের ম্যাচটা দেখতে হবে। সবগুলো জিততে পারলে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।’
কুমিল্লার বিদেশি ক্রিকেটাররা ভালো করলেও ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান, ইয়াসির আলি রাব্বি, আবু হায়দার রনির মত দেশি ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্টে নিজেদের পিছিয়ে থাকার পেছনে এটাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন সৌম্য।
‘স্থানীয় প্লেয়ারদের অনেক ভালো খেলা দরকার ছিলো। যেটা আমরা পারি নাই। সব মিলিয়ে যে পর্যায়ে আছে, যদি স্থানীয়রা খুব ভালো খেলে, তাহলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে।’