

গতদিন (৩ জানুয়ারি) রাতেই মেহেদী হাসান রানাকে টপকে চলমান বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আজ (৪ জানুয়ারি) দিনের বেলাতে মুস্তাফিজকে দুইয়ে ঠেলে দিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন মেহেদী হাসান রানা।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক (প্রতিবেদন লেখার সময়):
১৭– মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)
১৬– মুস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স)
১৩– মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)/ লুইস গ্রেগরি (রংপুর রেঞ্জার্স) / রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)/ এবাদত হোসেন (সিলেট থান্ডার)
১২– শহিদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্স)
১১– সৌম্য সরকার (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)/ আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস)
শুরুতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে ছিলেন না মেহেদী হাসান রানা। ড্রাফটে তাঁকে কোন দলই কেনার আগ্রহ দেখায়নি। চট্টগ্রামের নেটে বল করা মেহেদী হাসান রানাকে পরে নিজেদের স্কোয়াডে যুক্ত করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ঢাকায় রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেন মেহেদী হাসান রানা। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করা রানা পেয়েছিলেন লুইস গ্রেগরির উইকেট। পরের ম্যাচেই পাদপ্রদীপের আলোর নিচে আসেন তিনি। সিলেট থান্ডারের ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়ে তুলে নেন ৪ টি উইকেট। সেদিন ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন তিনি।
ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ম্যাচেও উজ্জ্বল ছিলেন রানা। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচে ৩ উইকেট শিকার করে সেদিনও জেতেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে রান বন্যার ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান রানা। যদিও সেদফায় ম্যাচসেরা হয়েছিলেন রানার সতীর্থ চ্যাডউইক ওয়ালটন।
রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ৩ ওভার বল করার সুযোগ পান মেহেদী হাসান রানা। তাতে ১৬ রান খরচে নেন ১ উইকেট। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে দ্বিতীয় সাক্ষাতে ছিলেন উইকেটশুন্য।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় দফা সাক্ষাতে একটু খরুচে ছিলেন মেহেদী। ৩ ওভারে ৩১ রান হজম করে নেন কেবল রবিউল ইসলাম রবির উইকেট।
আজ নিজের খেলা অষ্টম ম্যাচে আরো এক দফা উজ্জ্বল মেহেদী হাসান রানা। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলার উইকেট। পরে নেন রবি ফ্রাইলিঙ্কের উইকেটটিও। ৪ ওভারে ওভারপ্রতি ৭.২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে এখন শীর্ষ উইকেট শিকারী রানা।