

১৯৯৪ সালের ২২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ ওয়েস্ট প্রোভিন্সে জন্ম মারনাস লাবুশেইনের। টপ অর্ডারে ব্যাট করা লাবুশেইন লেগস্পিন করতে পারেন, এই বিবেচনায় ২০১৮ সালে আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক তার। আর সেটা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।
অভিষেক ইনিংসেই কোন রান না করে বিলাল আসিফের বলে আউট হন। ড্র হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির শাহের বলে এলবিডব্লিউ হবার আগে করেন মাত্র ১৩ রান। ব্যাট হাতে ভুলে যাবার মতো অভিষেক হলেও বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে দুইটি উইকেট নিয়েছিলেন লাবুশেইন।
দুবাইতে অমন অভিষেকের পর আবুধাবিতেও বলার মতো রান আসেনি লাবুশেইনের ব্যাট থেকে। দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ২৫ ও ৪৩। বল হাতে দুই ইনিংস মিলে নেন অবশ্য ৫ উইকেট।
টেস্টে প্রথম ফিফটির দেখা পান ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে, ব্রিসবেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের খেলা ৬ষ্ঠ ইনিংসে। এর পরের দুই ইনিংসে পার করতে পারেননি দুই অঙ্ক।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজে ১ম ইনিংসে ৯২ রান করা স্টিভ স্মিথের বদলী হিসাবে নামেন লাবুশেইন। আউট হবার আগে করেন ৫৯ রান। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বদলী হিসাবে নামা ঐ ইনিংস সহ অ্যাশেজে টানা ৪ ফিফটি করেন লাবুশেইন (৫৯, ৭৪, ৮০, ৬৭)।
ফিফটির দেখা পেলেও টেস্টে সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না। ১৬ তম ইনিংসে এসে দেখা পান প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির। ব্রিসবেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ১৮৫ রানের দাপুটে ইনিংস। অ্যাডিলেডে পরের টেস্টে করেন আরো এক সেঞ্চুরি (১৬২)। পার্থে নিজের খেলা পরবর্তী টেস্টে বদলে যায় প্রতিপক্ষ। তবে বদলায়নি ফল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ১৪৩ রানের ইনিংস।
সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করা মারনাস লাবুশেইন চলমান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পরের দুই ইনিংসেও করেন ফিফটি। আজ সিডনিতে তো করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। আউট হবার আগে করেন ২১৫ রান।
২০১৯ সালে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন লাবুশেইন, ২০২০ সালের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরিও এলো লাবুশেইনর ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার নয়া রান মেশিনে ছুটছে রানের ফোয়ারা।
এখন অব্দি মারনাস লাবুশেইনের টেস্ট ক্যারিয়ার-
ম্যাচ-১৪, ইনিংস ২২
রান- ১৪০০, গড় ৬৩.৬৩
সেঞ্চুরি- ৪, ফিফটি- ৭
সেরা- ২১৫, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।