

টুর্নামেন্টে বেশ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে টেবিলের শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঢাকার দ্বিতীয় পর্বে রোমাঞ্চকর শেষ ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে দলটি। অন্যদিকে রংপুরকে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হার উপহার দিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে রাজশাহী রয়্যালস। আগামীকাল (৪ জানুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেট পর্বের একমাত্র ম্যাচে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
কুমিল্লার কাছে শেষ ওভারে গিয়ে হারকে নিজদের জন্য সতর্কবার্তা মনে করছেন দলটির বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী। সিলেটে আগের রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আজ (৩ জানুয়ারি) প্রায় দুপুর নাগাদ চলে। শীতের মৌসুমে এমন টানা বৃষ্টি শঙ্কা জাগায় দর্শকদের মনে। নির্ধারিত সময়ে অনুশীলন বাতিল হয় দলগুলোর যদিও পরে রোদ ঝলমলে পরিবেশে ৪০ মিনিট দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ম্যাচ।
অনুশীলন বাতিল হওয়া চট্টগ্রাম দল সময় কাটায় হোটেলেই। সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। কুমিল্লার বিপক্ষে হারাটাকে মোমেন্টাম নষ্টের কারণ হিসেবে দেখেছেন ওই ম্যাচের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জুনায়েদের কণ্ঠেও এটি সতর্কবার্তা, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা শেষ ম্যাচটা অনেক কাছে গিয়ে হেরেছি। এটা একটা সতর্ক বার্তা। এটা থেকে আমরা আরও সতর্ক হয়েছি যে ক্রিকেটে যে কোনো কিছু হতে পারে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবছি।’
তবে ইতিবাচক থেকেই সামনে এগোনোর পরিকল্পনা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের, ‘নেতিবাচক কিছু ভাবছি না তাহলে দলের জন্য ভালো হবে না। আমাদের দলে সবাই অনেক ইতিবাচক অবস্থায় আছে। ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে খেলোয়াড় পর্যন্ত। এর একটা বড় কারণ হচ্ছে আমরা ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি। অবশ্যই শেষ ম্যাচটা থেকে আমরা আরও বেশি সিরিয়াস যেন পরের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো খেলতে পারি।’
রাজশাহীর মত চট্টগ্রামের দেশি-বিদেশী ক্রিকেটাররা করছেন সমানতালে পারফরম্যান্স। বিশেষ করে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স করাটাকে দলের ভালো ফলের অন্যতম কারণ বলছেন জুনায়েদ, ‘একটা দলের পারফর্ম করতে হলে কম্বিনেশনের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। আমাদের দলে লোকালরা অনেক ভালো করছে। যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই পারফর্ম করেছে। আমাদের দলের জন্য এটা অনেক ভালো একটা দিক।’