

চলতি বিপিএলে ঠিক অপয়া দল বললেও ভুল হবেনা সিলেট থান্ডারকে। কি ঘরের মাঠ কি বাইরের মাঠ, কি সহজ লক্ষ্য কি কঠিন লক্ষ্য ভাগ্য যেন সহায় হচ্ছেনা দলটির। ৯ ম্যাচে মাত্র ১ জয় নিয়ে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লো থান্ডার।
গতকাল (২ জানুয়ারি) সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হেরে ঘরের মাঠের দর্শকদেরও হতাশা উপহার দিল মিঠুন, এবাদতরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অফ স্পিনার নাইম হাসান দিতে পারলেন না উপযুক্ত ব্যাখ্যা। বরং একদিন আগে কোচ হার্শেল গিবসের করা ভাষাগত সমস্যার অভিযোগও দিলেন উড়িয়ে।
জয়-পরাজয় থাকবেই, ৭ দল থেকে প্লে-অফ খেলতে পারবে চারদল। তাই বলে ম্যাচের পর ম্যাচ টানা হারাটা অবশ্যই ইতিবাচক লক্ষণ নয়। এই নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনাবার এলেন নাইম হাসান। বয়স কিংবা অভিজ্ঞতায় কোনভাবেই এমন পরিস্থিতিতি সামাল দেওয়া মত পরিণতিবোধ থাকার কথা নয় তরুণ এই অলরাউন্ডারের।
টানা হারের কারণ জানতে চাইলে উত্তরেও মেলে তার ছাপ, ‘আসলে হার-জিত আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের কাজ শতভাগ দেয়া। কেউ বলতে পারবে না মাঠে নেমে যে জিতবো। হয়তো খারাপ সময় যাচ্ছে। আমাদের হাতে আছে হলো শতভাগ দেয়া। সবাই চেষ্টা করে শতভাগ দিয়ে খেলার। ক্রিকেট খেলাটাই এমন। একদিন সফল হয় তো একদিন হয় না। আমি যখন মাঠে নামি চিন্তা থাকে শতভাগ দেয়ার। যেন রুমে যেয়ে বলতে না হয় ইশ এই বলটা ট্রাই করলে পারতাম। ট্রাই করিনাই। এরকম যেন মনে না থাকে ওইরকম শতভাগ দিয়ে। ফিল্ডিংটা তো আমাদের নিজের।’
একদিন আগেই কোচ হার্শেল গিবস অনেকটা রাগের বহিঃপ্রকাশ করে বলেন দলের ক্রিকেটাররা বোঝেন না তার ভাষা। এমনকি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতেও সক্ষম নয় বলে কড়া অভিযোগ ছিল প্রোটিয়া কোচের। তরুণ নাইম অবশ্য মাঠে ব্যর্থতার দায় নিজেদের কাঁধে নিলেন কিন্তু অস্বীকার করলেন ভাষাগত সমস্যার ব্যাপারটি, ‘মাঠে তো আমরাই খেলছি। আমাদেরই দোষ। যার যার জায়গা থেকে সে যদি ঠিকভাবে খেলতো। দল হিসেবে খেলা হচ্ছে না।’
ইংরেজি না বোঝার অভিযোগটা ভিত্তিহীন প্রমাণে নাইম টেনে এনেছেন জাতীয় দলের কোচদের উদাহরণও, ‘আমার মনে হয় না (ভাষা বুঝতে সমস্যা)। জাতীয় দলের কোচরাও ইংরেজিতে কথা বলে। বুঝে নেন বাকিটা।’
নাইম অস্বীকার করলেও কোর্টনি ওয়ালশের সাথে বাংলাদেশি পেসারদের ভাষাগত দুরত্বের কথা কম বেশি সবারই জানা। এদিকে হার্শেল গিবস ছাড়া অন্যান্য দলের কোচরাও বেশিরভাগই বিদেশি কিন্তু সেসব দলের পারফরম্যান্স সিলেটের মত বাজে নয়। সেক্ষত্রে ভাষাগত সমস্যা হলে অন্য দলগুলোর স্থানীয় ক্রিকেটারদেরও হওয়ার কথা ছিল। সবমিলিয়ে ভাষাগত সমস্যা নিয়ে সত্যিকার অর্থেই তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।