

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আকবর আলি অন্যতম। বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নেতৃত্বভার তার কাঁধে। তার নেতৃত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে টাইগার যুবারা। দেশ ছাড়ার আগে আকবর আলি বলে গেলেন উপভোগ করেন অধিনায়কত্ব। কাউকে অনুকরণ না করে নিজের মতো চলা আকবর অনুসরণ করেন টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ।
২০১৯ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়া আকবর আলির নেতৃত্বে ২২ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যার ১৬ টিতেই জিতেছে টাইগার যুবারা, হেরেছে কেবল ৪ টিতে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অন্তত ১০ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন অধিনায়কদের মধ্যে জয়ের হার সবচেয়ে বেশি আকবর আলির (৭৮.৫৭ শতাংশ)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম (৭৭.৭৭ শতাংশ)।
অধিনায়কত্ব সম্পর্কে আকবর আলি আজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অধিনায়কত্ব আমি উপভোগ করি। এটাকে বাড়তি চাপ হিসেবে নিতে চাই না। যখন আমি মাঠে থাকি চিন্তা করি যে যতটা উপভোগ করা যায়। কিপিং ও ক্যাপ্টেন্সি দুটোই আমি মাঠে উপভোগ করি। বাড়তি চাপ হিসেবে নেই না। অন দ্য ফিল্ড ও অফ দ্য ফিল্ড আমি উপভোগ করি।’
‘দেখেন, আমি যখনই অধিনায়কত্ব করেছি, যেভাবেই করেছি, কখনো বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে নিতে চাইনি। চিন্তা করেছি কিভাবে প্রতিপক্ষকে কৌশলগতভাবে ধরে রাখা যায়, চাপের ফেলা যায়; এটাই চেষ্টা করি।’
যখন অধিনায়ক থাকেন না তখন চেষ্টা করেন যিনি অধিনায়ক থাকেন তাকে সাহায্য করার। এক্ষেত্রে বাড়তি একটা সুবিধাও পান আকবর, আর সেটা নিজে উইকেটরক্ষক বলে।
‘অধিনায়ক না থাকলেও যখন কিপিং করি, চেষ্টা করি যে খেলাটাকে বোঝার। খেলাটাকে গভীরভাবে বোঝার ব্যাপারটাই মাথায় কাজ করতে থাকে। তো অধিনায়ক থাকি বা না থাকি সেটা আমার কাছে ইফেক্ট করে না। আমি চেষ্টা করি যে গেমটাকে বুঝে যে অধিনায়ক থাকে যথাসম্ভব সাহায্য করা পেছন থেকে।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৩০ ম্যাচ (যুব ওয়ানডে) খেলেছেন রংপুরে জন্ম নেওয়া মোহাম্মদ আকবর আলি। ১৮ বছর বয়সী আকবর ২৪ ইনিংসে ব্যাট করে ৪১.৮০ গড়ে রান করেছেন ৬২৭। ২৯ ইনিংসে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়ে করেছেন ৫৯ ডিসমিসাল (৫২ ক্যাচ ও ৭ স্টাম্পিং)। যুব ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি ডিসমিসাল নেই আর কোন বাংলাদেশি উইকেটরক্ষকের। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এনামুল হক বিজয়ের ডিসমিসাল ৪১ টি (২৮ ইনিংসে)।
কাউকে অনুকরণ বা অনুসরণ করেন কিনা জানতে চাইলে আকবর আলির অকপট উত্তর, ‘আমি সেভাবে কাউকে অনুকরণ করি না। নিজের মতই চলার চেষ্টা করি।’
এর আগে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক থেকে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ শুভকামনা জানিয়েছেন আকবর আলিকে। তবে কারো সাথেই কৌশলগত দিক নিয়ে কোন কথা হয়নি আকবরের। আকবরের যত অনোযোগ তা কেবল ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ পালনে।
‘না সেভাবে কারো সাথে কথা হয়নি। মিরাজ ভাইয়ের সাথে একদিন কথা হয়েছিল। উনি বেস্ট অব লাক বলে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এমনিতে স্ট্র্যাটেজিক কোন কথা হয়নি। ম্যানেজমেন্ট থেকে যা বলা হচ্ছে সেগুলোই অনুসরণ করছি।’