

বিপিএলের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সবার নজর কেড়েছেন মেহেদী হাসান রানা। প্লেয়ার ড্রাফটে দল না পাওয়া রানাকে টুর্নামেন্ট শুরুর পর দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপর বল হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে আসেন আলোচনায়। বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে আছেন রানা। আজও শীর্ষে আছেন, তবে তাকে ধরে ফেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে আজ দুই উইকেট শিকার করে মেহেদী হাসান রানার সঙ্গে সৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ৩ ওভারে ১৯ রান খরচে ২ উইকেট তুলে নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান অবশ্য শেষ ওভারে হজম করেন ২২ রান। ম্যাচ শেষ হয় ২-০-৪১ -৪ স্পেলে। রাজশাহী ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৭৯ রান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মুস্তাফিজুর রহমান ২ উইকেট পেলেও হজম করেছিলেন ৩৭ রান। পরের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩.২ ওভার বল করে ছিলেন উইকেটশুন্য, রান দিয়েছিলেন ২১।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ৪ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৩৫ রান, পেয়েছিলেন সাব্বির রহমানের উইকেটটি। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল করেছিলেন ২ ওভার। তাতে ১৮ রান দিয়ে পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে রংপুর রেঞ্জার্স। সেখানে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ, করেছিলেন ১ মেডেন ওভারও। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে উজ্জ্বল ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট।
সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচে তো দাপুটে পারফরম্যান্সে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৪ ওভারে কেবল ১০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে গত ম্যাচে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ১ মেডেনে মুস্তাফিজ রান দেন কেবল ১৬।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক (প্রতিবেদন লেখার সময়):
১৪- মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) / মুস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স)
১২- শহিদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্স)
১১- সৌম্য সরকার (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)/ লুইস গ্রেগরি (রংপুর রেঞ্জার্স)/ আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস)
১০- ওয়াহাব রিয়াজ (ঢাকা প্লাটুন)/ রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।