

চলতি বিপিএলের শুরু থেকেই মাঠের ক্রিকেটে নাজুক অবস্থা সিলেট থান্ডারের। ৮ ম্যাচের ৭ টিতে হেরে আগামীকাল (২ জানুয়ারি) থেকে হোমগ্রাউন্ডে খেলবে দলটি। দলের করুণ অবস্থার জন্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতার সমস্যা তুলে ধরে দলটির কোচ হার্শেল গিবস অনেকটা রাগ ঝেড়েছেন আজ (১ জানুয়া) অনুশীলন শেষে। মানসিকতা কেমন হওয়া উচিৎ বোঝাতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করান বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানকে।
দলের ক্রিকেটাররা ইংরেজিতো বোঝেনইনা সাথে বোঝেননা ম্যাচের পরিস্থিতিও। লম্বা সময় গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বারবারই তুলে ধরেছেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে না পারার বিষয়টিকে। এদিকে ভাষা না বুঝার কারণে তার দেওয়া টোটকাও কাজে লাগাতে না পারার অভিযোগতো ছিলই।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেটের হয়ে ওপেন করতে নেমে রুবেল মিয়া খেলেন টেস্ট ঘরানার এক ধীরগতির ইনিংস। বিরক্ত হার্শেল গিবস এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এটা ২০২০ সাল, ২৮ বলে ১৪ রান করার পর ব্যাটসম্যান যদি না বুঝে তাকে দ্রুত রান করতে হবে আমি জানিনা এর প্রেক্ষিতে কি বলার আছে।’
স্থানীয় ক্রিকেটারদের কাছে প্রত্যাশা বেশি করার আগে তাদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানো তাগিদও দিয়েছেন প্রোটিয়া এই কোচ। অন্যান্যদের সাথে সাকিব আল হাসানের তুলনা করতে গিয়ে গিবস যোগ করেন, ‘আর এখানেই সাকিব আলাদা। গত দুই বছর লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সে খেলাটা বুঝা ও পরিস্থিতি পড়তে পারার দিক দিয়ে কতটা উন্নতি করেছে।’
‘এমনকি বিশ্বকাপ খেলার সময়ও সে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছে। সে এমন একজন যার কাছ থেকে অন্যদের শেখা উচিত। সে কিন্তু প্রথম বল থেকেই আক্রমণে যায়নি, তার টাইমিং ও মেধা মননের ব্যবহারটাই সাফল্য এনে দিয়েছে। এটাই মানসিক দিক, আমিও এটাই বলতে চাই যখন বুঝবো তারা (সিলেট থান্ডার ক্রিকেটার) আমাকে বুঝতে পারে তখনই আমি তাদের সাহায্য করতে পারবো।’