

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের কোচের দায়িত্বে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সাবেক ক্রিকেটার হার্শেল গিবস। তবে কোচিং করাতে এসে বেশ বিপদেই পড়েছেন এই মহাতারকা। সিলেটের টপ অর্ডারে নেই কোন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান; বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছাড়া স্কোয়াড দেখে বেশ অবাক প্রোটিয়া কোচ গিবস। নিজে বিপিএল ড্রাফটে সিলেটের দায়িত্বে থাকলে দুইজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও পেসার নিতেন।
এবারের বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠানে কোচ হিসেবে সারোয়ার ইমরানকে হাজির করালেও দিন কয়েকের ব্যবধানে তাকে সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকান হার্শেল গিবসকে। তিনি দায়িত্বে এসে স্কোয়াড মনের মতো পাননি, এবং সিলেট টিম নিয়ে গিবস ঠিকমতো পরিকল্পনাও করতে পারছেন না। সিলেট থান্ডার্সের টিম অর্ডার নিয়ে হার্শেল গিবসের বক্তব্য,
‘দুর্ভাগ্যবশত আমি ড্রাফটের সময় ছিলাম না। আমি মূলত হস্তান্তরিত একটি স্কোয়াড পেয়েছি। আমি যদি সেখানে থাকতাম তবে দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, দুজন বাঁহাতি পেসার নিতাম। আমাকে শুধু স্কোয়াডটা দেওয়া হয়েছে, কোচ হিসেবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কোন রসদ আমার কাছে নেই। ডানহাতি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কম্বিনেশন প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে সমস্যায় ফেলতো, কিন্তু আমরা সেটা পারছিনা।’
সিলেটের ব্যাট পজিশন টপ অর্ডার কিংবা মিডল অর্ডারে যারা আছেন সবাই ডানহাতি ব্যাটসম্যান (আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন)। সিলেটের বর্তমান কোচ হার্শেল গিবস জানান ড্রাফটে উপস্থিত থাকলে তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে দুইজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিতেন। সিলেটের এমন স্কোয়াড ক্রিকেটে খুব কমই দেখেছেন তিনি,
‘একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছাড়া এমন স্কোয়াড আমি খুব কম দেখেছি। মান বজায় রাখা স্কোয়াডে টপ ছয় ব্যাটসম্যানের অন্তত দুজন বাঁহাতি লাগবেই প্রতিপক্ষের চাপ তৈরিতে। কিন্তু আমার কাছে তেমন কিছু নেই। এটা কঠিন হয়ে গেল তবুও যারা আছে তারা যদি ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝার মানসিকতা রাখতো তাও হত। শুরুর দিকে বড় জুটি না হলে পরের ব্যাটসম্যানদের করণীয় থাকে সামান্য।’
শুধু ব্যাটিং কম্বিনেশনই নয় হার্শেল গিবসের মতে স্পিন বোলিংয়েও সিলেট থান্ডারের কম্বিনেশন ঠিক নেই। বিপিএলের উইকেট ভালো কিন্তু সিলেট একাদশে কোয়ালিটি বোলারের অভাব বোধ করছেন কোচ গিবস,
‘বাঁহাতি স্পিনার ও ডানহাতি স্পিনারের কম্বিবেশনও দরকার। উইকেট খুবই ভালো তবে যদি কোয়ালিটি স্পিনার থাকতো তারা বেশ দক্ষতার সাথে সামলাতে পারতো লাইন লেংথ ঠিক রেখে। দিনশেষে আপনার সামর্থ্য প্রমাণ করতে হবে সৃষ্টিশীলতা দিয়েই, এসব জায়গায় বেশ উন্নতি করতে হবে। অনেক স্পিনারই আছে যাদের কাছে উইকেট ফ্যাক্টর না।’