

বল হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছেনা আবু হায়দার রনির। কুমিল্লার হয়ে চলতি বিপিএলে ৬ ম্যাচে উইকেট মাত্র দুইটি। বরং সুযোগ পেয়ে সবশেষ দুই ম্যাচে ব্যাট হাতেই দেখিয়েছেন ঝলক। চট্টগ্রামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ২৮ রানের পর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষ আজ মিরপুরে তো রোমাঞ্চকর জয়ে অন্যতম ভূমিকাও রেখেছেন। শেষ ওভারে ১৬ রান লাগে এমন ম্যাচে তার ১২ রানের ইনিংসটিই হয়ে রইলো স্মরণীয়।
সেট ব্যাটসম্যান মালানকে এক নন স্ট্রাইক প্রান্তে রেখে কেবল প্রান্ত বদলের ভাবনাই কেবল কাজ করেনি রনির মাথায়। চেয়েছেন নিজেও আক্রমণে গিয়ে রান এগিয়ে দিতে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বল হাতেই তুলতে চান ঝড়, ব্যাটিংটা তার বাড়তি সুবিধা।
ঝড়ো ফিফটিতে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া মালানকে শেষ ওভারে স্ট্রাইক দেওয়ার বদলে নিজেই আক্রমণে যাওয়া প্রসঙ্গে বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘আমার প্ল্যান ছিল যে কিভাবে মালানকে স্ট্রাইক দেয়া যায়। কারণ সে ভালো খেলছিল তখন। আমার প্ল্যান ছিল কিভাবে এক রান নিয়ে ওকে দেয়া যায়। তবে শেষ ওভারে যখন খেলা চলে আসে তখন আসলে এক দেয়ার পরিস্থিতি ছিল না কারণ ৬ বলে ১৬ অনেক রান। আমিও চেষ্টা করেছি কিভাবে মেরে রানটা আগানো যায়।’
মূলত বোলার হলেও প্রথম শ্রেণি কিংবা লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ব্যাট হাতে দলের শেষদিকে খেলতে পারেন কার্যকর ইনিংস। লোয়ার অর্ডারে নেমে প্রথম শ্রেণিতে আছে ফিফটিও। ব্যাট হাতে এমন সাফল্য পাওয়ার পর কি মনে হয়না ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজেকে প্রস্তুত করা যায়? এমন প্রশ্নে রনির সোজা উত্তর, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বোলার আছি। সঙ্গে ব্যাটিংটা করতে পারি। এটা নিয়ে আমি খুশি।’
আজ যে পরিস্থিতিতে প্লাংকেটের মত পেসারকে বাউন্ডারিক হাঁকিয়ে ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়েছেন তার জন্য নিশ্চিতভাবেই নিজের মনোবল হতে হয় শক্ত। যেহেতু পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান নয় বাঁহাতি এই পেসারের আত্মবিশ্বাসটা আসলো কীভাবে জানিয়েছেন নিজেই, ‘আমার আসলে আত্মবিশ্বাস আছে। কারণ আমি ব্যাটিং নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে কাজ করছি। এই ধরণের পরিস্থিতিতে দলকে কিভাবে জেতানো যায়, সেই কারণে পাওয়ার হিটিংও করেছি কয়েকদিন। আর মালান ছিল। তখন সাহস ছিল যে আমরা পারবো।’