

বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট যেকজন ক্রিকেটারকে বারংবার সুযোগ দিয়ে নিবিড়ভাবে পরখ করে দেখতে চেয়েছে তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই নাজমুল হোসেন শান্ত। বয়সভিত্তিক ও ঘরোয়া লিগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তার দিকে আলাদা নজর দিতে বাধ্যও করেছে নির্বাচকদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাটেই বাজিয়ে দেখা হয়েছে, প্রতিবারই হতাশ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে আস্থা হারায়নি নির্বাচকরা, বিসিবির অধীনে বিভিন্ন দলের অধিনায়ক করেও রাডারে রেখেছে চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যানকে।
প্রথম চার ম্যাচে নিরাশ করেছেন শান্ত। ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কও, খালি হাতে ফিরেছেন দুইবার! তবে শেষ দুই ম্যাচে পেয়েছেন রান যদিও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। সবশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপেও ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে, রান পেয়েছেন এসএ গেমসেও। আন্তর্জাতিক অঙ্গন কিংবা বিপিএলের মত বড় মঞ্চেই মুখ থুবড়ে পরার কারণ কি তবে চাপ কিংবা অভিজ্ঞতার ঘাটতি?
দুটোর কোনটাকেই দায়ী করতে নারাজ অবশ্য ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান, ‘না আমার কাছে মনে হচ্ছে না চাপ কিংবা অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আমি মনে করি ক্রিকেট খেলায় একদিন ভালো হবে একদিন খারাপ হবে। আমার কাছে চাপ বা অভিজ্ঞতা কোনো ইস্যু মনে হচ্ছে না। আজকে ভালো হচ্ছে কাল খারাপ হবে, ক্রিকেটের এমনই নিয়ম। আমি এগুলা নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না।’
বয়সভিত্তিকে দুর্দান্ত ফর্মে নিজেকে এনেছেন দ্রুতই আন্তর্জাতিক আঙিনায়। বেশ ভালো পরিচর্যা করেই গড়ে তোলা হয়েছে তাকে, ফলে তার কাছে প্রত্যাশাতাও থাকে বেশি। এমন প্রতাশাকে চাপ ভাবেন কিনা জানতে চাইলে শান্ত জানান, ‘আসলে প্রত্যাশা না থাকা ভালো। সকলেরই প্রত্যাশা থাকে, নিজের থাকে, পরিবারের থাকে। এটা নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করে প্রসেসটা মেনে চললেই আমার মনে হয় ভালো করা সম্ভব।’
‘ভালো করলে এমনিতেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। আমি মনে করি সবাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখছে নির্বাচক বলেন, মিডিয়া বলেন, আর পরিবারের মানুষ তো আছেই। এটা একটা ইতিবাচক দিক। ভালো খারাপের মাঝে সবসময় পাশে থাকে সবাই। আমারও ওই ফিডব্যাকটা দেওয়া উচিত। অনুশীলন করছি, প্রসেস মেনে চলছি। আজ খারাপ হচ্ছে অবশ্যই পরে ভালো হবে।’
বিপিএলে তার দলেই আছেন রাইলি রুশোর মত বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান, টুর্নামেন্টে করে চলেছেন বেশ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। ড্রেসিং রুম শেয়ার করার ফলে কিছু কি আদায় করছেন রুশোর কাছ থেকে? জবাবে তরুণ এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আলাদাভাবে ওইরকম কোন কথা হয়নি। তবে রুশো খুব ভালো টাচে আছে। শেষ দুই তিন বছর বিপিএলে খুব ভালো খেলতেছে। তাঁকে দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। অনেক সময় অনুশীলনে দেখা হয়, কথা হয়। অভিজ্ঞতা শেয়ার করে, যা আমার জন্য ভালো।’