

হার্ডহিটার ট্যাগ লেগেছিল নামের পাশে, মূলত বড় ছক্কা হাঁকানোর পাশাপাশি ঘরোয়া লিগে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং এর জন্য অনেকবারই হয়েছেন শিরোনাম। যদিও আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি জিয়াউর রহমান। ২০১২ সাল থেকে বিপিএল খেলা জিয়া অবশ্য বিপিএলে ছিলেন ছন্দেই, ৪০ ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে রান করেছেন ৬১০। স্ট্রাইক রেটও ছিলও অন্য অনেকের চাইতে বেশ ভালো।
কিন্তু চলতি বিপিএলে ড্রাফট থেকে তাকে কেনার আগ্রহ দেখায়নি কোন দল। টুর্নামেন্টেরও অনেকটা সময় পার হয়ে যায়, ড্রাফটের বাইরেও কেউ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। শেষ পর্যন্ত জিয়া দল পেয়েছেন, সুযোগ মিলেছে টেবিলের শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামের হয়ে মাঠে নামার।
আজকের আগে বিপিএলে ১২৩.২৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা জিয়া কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে আজ (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাট হাতেও মাঠে নামেন। দুর্দান্ত শুরু পাওয়া দল শেষদিকে যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তখনই ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী এক ইনিংস খেলে তার উপর রাখা আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন প্রথম ম্যাচেই।
View this post on Instagram
Old is Gold. #BPLT20 #BBPLT20 #BangabandhuBPL #BBPL #bplseason7 #CWvCC #CCvCW
লেন্ডল সিমন্স-জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১০৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও ১৩৯ রান তুলতে চট্টগ্রাম হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ৬ নম্বরে নেমে জিয়ার ২১ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৩৪ রানে ভর করে চট্টগ্রাম পায় ১৫৯ রানের পুঁজি। মাত্র ১০.৩ ওভারে ১০০ পার করা চট্টগ্রামের সংগ্রহ অবশ্য আরও অনেক বেশিই হত মাঝে ব্যাটিং বিপর্যয়টা না ঘটলে।
এর আগে ৩৩ বছর বয়সী জিয়া বিপিএল খেলেছেন চট্টগ্রাম কিংস, চট্টগ্রাম ভাইকিংস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, দুরন্ত রাজশাহী ও রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ৫০ ম্যাচে ৪০ বার ব্যাট হাতে নিয়ে রান করেছেন ২১.০৩ গড়ে ৬১০। হাঁকিয়েছেন ৩৫ টি ছক্কা, আজ নিয়ে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯, এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশীদের মধ্যে বিপিএলে ৮ম সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও এটি।
সবচেয়ে বেশি ৬৯ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল খান, ৬৫ ছক্কা নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স সাব্বির রহমান রুম্মন। দেশি বিদেশি মিলিয়ে অবশ্য সর্বোচ্চ ছক্কা এসেছে ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে। তার ১২০ ছক্কার বিপরীতে ১০০ ছক্কার রেকর্ডও নেই অন্য কারও।