
মূল ছবিঃ সংগ্রহীত

বয়স ২০ পেরোবে সপ্তাহ দুয়েক পর, গতবছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর চলতি বছর বিকেএসপির হয়ে অভিষেক লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও। বিসিবির অধীনে বয়সভিত্তিক, ইমার্জিং দলের হয়ে নিয়মিত খেলছেন দেশে-বিদেশে। প্রথমবারের মত বিপিএল খেলছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে, তিন ম্যাচ খেলে পাননি কোন উইকেটের দেখা। অবশ্য উইকেট সম্পর্কে পেয়ে গেছেন ধারণা। ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে বিপিএলের পার্থক্য তুলে ধরার পাশাপাশি জানিয়েছেন নিজের শক্তির জায়গা সম্পর্কেও।
আগামীকাল চট্টগাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আজ মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন দলটির পেসার সুমন খান। বিপিএলের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হলেও খুলনা টাইগার্স পেসার শফিউল ইসলামের মত সুমন খানেরও বিশ্বাস এমন চ্যালেঞ্জিং উইকেটই দেশের পেসারদের জন্য ইতিবাচক।
এ প্রসঙ্গে ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘আমরা যদি আন্তর্জাতিক খেলি সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামের মত উইকেটেই খেলি। যেধরণের উইকেটে এবার বিপিএল হচ্ছে যদিও এটা আমার প্রথম বিপিএল, মাত্র তিনটা ম্যাচ খেলছি। এসব উইকেটে বল করা চ্যালেঞ্জিং, শেখার আছে অনেক কিছু। কারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ যখন খেলবো তখন কিন্তু এমন উইকেটই থাকবে, অনেক কিছু শিখতে হবে বৈচিত্র্য আনতে হবে। একটু এদিক সেদিক হলেই ব্যাটসম্যানের জন্য খেলাটা খুব সহজ হয়ে যাবে কারণ খুব সুন্দর ব্যাটে-বলে আসে।’
ঘরোয়া অন্যান্য টুর্নামেন্টের সাথে বিপিএলের বেশ পার্থক্যও খুঁজে পেয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার, ‘পার্থক্য বলতে দেখা যাচ্ছে বিশ্বমানের ক্রিকেটাররা আসছে, ঘরোয়ার সাথে তফাৎ তো আছেই। দেখা যাচ্ছে ঘরোয়াতে আমি একটা ভালো বল করলে বেঁচে যাচ্ছি, খারাপ বলেও অনেক সময় সেভ হচ্ছি, ব্যাটসম্যান মারতেছেনা। কিন্তু এখানে খুব চ্যালেঞ্জ থাকে , ভালো বল খারাপ কিছু নেই। যেকোন বলই মেরে দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই বাড়তি চ্যালেঞ্জ থাকে।’
বোলিংয়ে নিজের শক্তির জায়গা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সুমন খান বলেন, ‘শক্তির জায়গা বলতে গেলে নতুন বলে আমি ভালো সুইং পাই আর ইয়র্কারটা ভালো পারি। যেহেতু টি-টোয়েন্টি হচ্ছে প্রথম দিকে বল করাও যাচ্ছেনা, সিমও থাকেনা। কয়েক ওভার গেলে এটা নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কাজটা স্লোয়ার আর ইয়র্কার নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।’
কুমিল্লার হয়ে খেলছেন আল আমিনের মত বিশেষজ্ঞ টি-টোয়েন্টি বোলার। ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুবাধে তার কাছ থেকে কিছু শিখছেন কিনা জানতে চাইলে এই পেসার বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষণীয় আছে কারণ আল আমিন ভাই অলমোস্ট একসময় টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে, অভিজ্ঞ বোলার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসছে।’
তবে যে যতই অভিজ্ঞতা শেয়ার করুক মাঠে প্রয়োগটা নিজেরই করতে হয় উল্লেখ করে আরও যোগ করেন, ‘তো তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতাটাই মূলত নেওয়া যায়, প্রয়োগটা আমাকেই করতে হবে। কেউতো শিখিয়ে দিবেনা, আমারটা আমার নিজেকেই করতে হবে। দেখা গেল যে কখন কোন মোমেন্টে নিজেকে মেলে ধরা যায় সে প্রস্তুতি নিয়ে রাখাটাই মূল বিষয়।’