

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকেই একটা আতঙ্ক কাজ করছিল, প্রতিবারের মত এবারের বিপিএলও বুঝি কোন বিতর্কের সঙ্গী হবে। তবে মাঠের লড়াই শুরু হতে সবকিছুই ঠিকঠাক, উইকেট নিয়েও নেই কোন অভিযোগ। কিন্তু প্রথমদিনেই সিলেট থান্ডার পেসার ক্রিশমার সান্টোকির দেওয়া বিশাল এক ‘নো বল’ জাগায় সন্দেহ, বাড়ায় শঙ্কা।
সন্দেহের মাত্রা এত বেশিই ছিল যে খোদ দলটির পরিচালক তানজিল চৌধুরী বিসিবির কাছেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। লিখিত অভিযোগ করেন বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছেও। মূলত প্লেয়ার ড্রাফট থেকেই সান্টোকিকে নিয়ে দলটির স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সাথে বিরোধ।
ঘটনার পর লম্বা সময় পার হলেও বিষয়টি নিয়ে বিসিবি কিংবা দুর্নীতি দমন ইউনিটকে চুপ থাকতেই দেখা যায়। এদিকে সান্টোকিও নিয়মিত থাকছেন একাদশে। বিসিবি অবশ্য আগেই জানিয়েছিল এখানে তাদের করার কিছু নেই, পুরো ব্যাপারটি দেখভাল করবে দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)।
একদিন আগে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন ইতোমধ্যে সান্টোকিকে নিয়ে তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে। লম্বা সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ক্যারিবিয়ান এই পেসারকে। তার অতীত রেকর্ড নিয়েও হয়েছে পর্যালোচনা।
গতকাল দেশের অন্যতম দৈনিক ‘প্রথম আলোকে’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানান সান্টোকির ঘটনায় নেতিবাচক কিছু সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ হিসেবে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকে গড়ালে দুর্নীতি দমন ইউনিট বিসিবির দ্বারস্থ হয়। যেহেতু প্রতিবেদন তৈরি হওয়ার পরেও দুর্নীতি দমন ইউনিট বিসিবির সাথে যোগাযোগ করছেনা ফলে লক্ষণ বলছে পাওয়া যায়নি খারাপ কিছু।