

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়েছে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শীতের মৌসুম বলে কুয়াশা মিরপুরের উইকেটে এখন বড় ফ্যাক্টর, টস হেরে আগে ব্যাট করাটা ডুবিয়েছে চট্টগ্রামকে বলছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রায়াদ এমরিট।
ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়ে অধিনায়কের প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুক্তার আলি। অবশ্য ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পেছনেও এই পেসারের দায়ও তুলে ধরেন এমরিট। টস ভাগ্য নিয়ে বলতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার জানান, ‘টস জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা টস হেরে যাই। টস জয়টাতো আসলে লটাতির মত, কে জিতবে আগে থেকে বলা মুশকিল।’
‘সত্যি বলতে পিচও অনেক স্লো আর রান করার জন্য কঠিন ছিল। আমাদের রানটা ১৬০ হলে লড়াই করা যেত, আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি তবুও মুক্তার আলির ব্যাটে ১৪০ পার হয়েছে। পরে ব্যাট করলে হয়তো কুয়াশার সুবিধাটা আমরা নিতে পারতাম, ভেজা বল ব্যাটে আসতো সহজে।’
১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০১ থেকে মুক্তার আলির ক্যামিওতে ২০ ওভার শেষে ১৪৪ রান চট্টগ্রামের বোর্ডে। শুরুটা ভালো হলেও খুলনার ইনিংসের পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। এই দুই ওভার থেকে আসে ৪৩ রান, এমরিটের করা পঞ্চম ওভার থেকে ১৮ ও মুক্তার আলির ৬ষ্ঠ ওভার থকে ২৫ রান!
নিজেদের দিকে আঙুল তুলে এমরিট যোগ করেন, ‘আগেই যেটা বললাম টস হারটা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। আর বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই হয়, প্রথম ওভারে উইকেটও নিয়ে নিই। তবে পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ ওভারে আমার এবং মুক্তার আলির ওভার দুটোই আমাদের মোমেন্টাম নাড়িয়ে দেয়।’
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচে না খেললেও অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ ফিরছেন পরের ম্যাচেই, এমনটাই জানান চট্টগ্রামে ভারপ্রাপ্ত কাপ্তান, ‘হ্যা আশা করছি মাহমুদউল্লাহ পরের ম্যাচেই ফিরবে। বিপিএলে সে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে উপরের দিকে আছে, তার অধিনায়কত্বও অসাধারণ। আশা করছি সে ফিরলে আমাদের সেটআপ টা আরও ভালো হবে।’