

সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অধ্যায় শেষ করলো বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি বড় সংগ্রহের আশা দেখালেও ইনিংসের মাঝপথে ব্যাটসম্যানদের ভুল শট নির্বাচনের মাশুল দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মতে এটাই ম্যাচ পরিবর্তনের সময় ছিল।
এজবাস্টনে টসে হেরে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে ২৭ ওভারেই দলের রান পেড়িয়ে গেছে দেড়শ। তামিম ও মুশফিকের ব্যাটিং দেখে নির্ধারিত ওভার শেষে তিনশ’র উপর রানের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে ২৫ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুই থিতু ব্যাটসম্যান তামিম ও মুশফিক, মাঝে সাকিব আল হাসান। ম্যাচের গতিপথ পাল্টে গেছে সেখানেই। অলরাউন্ডার সাকিব জানান, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা যেভাবে খেলেছি সেটা খুবই হতাশাজনক ছিল। আমরা ব্যাটিংয়ে ৩২০ অথবা ৩৩০ করার মতো ভালো অবস্থানে ছিলাম। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেঞ্চুরি করতে পারত এবং আমাদের ৩২০ এর মতো স্কোর এনে দিতে পারত।’
মানসিকতা বদলে ভারতের অনিয়মিত অফস্পিনার কেদার যাদবের কাছে উইকেট হারায় তামিম-মুশফিক দু’জনেই। সাকিবের মতে, ‘ভারত কিছু ডট বল দিয়েছিল এবং অনিয়মিত বোলারকে পেয়ে ব্যাটসম্যানরা বেশি রান করতে চেয়েছিল এবং তা করতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকেই তারা ভালো জায়গায় বল করতে থাকে এবং আমাদের অনেক চাপের মধ্যে রাখে।’
বাঁহাতি অলরাউন্ডার আরও যোগ করেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলেছি এইসব জানার জন্য। আমরা সবাই অভিজ্ঞ। বোলাররা ভালো বল করছে এবং মাঝে মাঝে আপনি রান করতে পারবেন না। তার মানে এটা না যে আপনি আতঙ্কিত হয়ে যাবেন এবং বড় শট খেলবেন এবং মাঠ ছেড়ে চলে আসবেন। আমরা কিছু বোকার মতো শট খেলেছি। এই উইকেটে ২৬০ অথবা ২৭০ রান পর্যাপ্ত নয়।’
বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ সাকিব। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে হারের জন্য দায়ী করছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহর সাথে তার গড়া জুটির কথা স্মরণ করে সাকিব বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য আরও পাঁচ অথবা দশ ওভার ব্যাট করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেমনটা আমি মাহমুদুল্লাহর সাথে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলাম। যদি তারা ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারত তাহলে হয়তো তারা উভয়েই শত রান করত এবং আমরা হয়তো ৩৩০ বা ৩৪০ করতাম। এটাই খেলা পরিবর্তনের সময় ছিল। এটা হতাশাজনক। একটি সেমিফাইনালে খেলা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি।’