

তথ্য গোপনের অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানের ওপর। তিনটি চার্জ নিজে স্বীকার করে নেওয়ায় এবং দুর্নীতি দমন ইউনিটকে তদন্ত কাজে সাহায্য করায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রেখেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাকিব নিজেই শাস্তি মেনে নেওয়া আর কোন আপিলের সুযোগ থাকছেনা, তবুও দেশের স্বার্থে ফাঁক ফোঁকর থাকলে সেটা নিবে কিনা বিসিবি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী।
গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাকিবের নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির দিন সকাল থেকে রাত অব্দি মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম গণমাধ্যমকর্মী ও বোর্ড কর্তাদের পদচারনায় ছিল মুখরিত। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা জারির পর সেদিন সাকিব আল হাসান নিজেও বিসিবিতে এসে আইসিসিকে দেওয়া বিবৃতি বাংলায় দেন আরেকবার। সাকিবের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে বিসিবি জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপনও।
একদিন পরই শুনশান নিরবতা স্টেডিয়াম পাড়ায়। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভারতে উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে জাতীয় দল, মিরপুরে আসেনি কোন বোর্ড কর্তাও। প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও দুপুর নাগাদ ত্যাগ করেন বিসিবি কার্যালয়, কথা বলেননি গণমাধ্যমের সাথে। তবে আজ (৩১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কথা বলেছেন নানা ইস্যুতে।
সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমানোর আনুষ্ঠানিক কোন সুযোগই আর নেই নিষেধাজ্ঞা জারির দিনই জানা গেছে। গণভবনে সেদিনই প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন এ বিষয়ে তারা অপারগ। বিসিবির হয়ে প্রধান নির্বাহী বলছেন, ‘দেখুন ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন এ বিষয়ে বিসিবির করণীয়টা খুব সীমিত। এবং সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার শাস্তি মেনে নিয়ে একটা চুক্তির মধ্যে চলে গিয়েছে।’
তবে আইনগতভাবে সুযোগ থাকলে লুফে নিতে দেরি করবেনা বিসিবি স্পষ্ট বিসিবি প্রধান নির্বাহীর কন্ঠে। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারপরও আমরা আইনগত ব্যাপারগুলো দেখবো কতটা কি করা যায়, আমাদের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলছি। এবং আমরা চেষ্টা করবো এ বিষয়টা নিয়ে কীভাবে এগোনো যায় কিংবা কোন সুযোগ আছে কিনা।’