

সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। এই এক বছরে সাকিবকে একবারে ক্রিকেটের বাইরে রাখতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিবকে ট্রেনিংয়ের সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি।
আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন,
“ট্রেনিংয়ের সুযোগ দেওয়া বিসিবির ব্যাপার বলেই আমরা জানি। তো সেই সুযোগ আমরা সাকিবকে দেব। অবশ্যই কোনো দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে না, এখানে আইসিসির নিষেধ আছে। কিন্তু আলাদা করে ট্রেনিং করার সুযোগ সে পাবে। আমরা চাই সে নিজেকে প্রস্তত রাখুক। এক বছর পর যখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে, তখন যেন সে প্রস্তুত থাকে মাঠে নামতে।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ গ্রেডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের একজন সাকিব। ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে বোর্ড থেকে মাসে চার লাখ টাকা বেতন পেতেন তিনি। সেই চুক্তিও বাতিল হচ্ছে।
“এই ব্যাপার নিয়ে এখনও আমরা আলোচনা করতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞার পর ২৪ ঘণ্টাও তো পেরোয়নি। নরম্যাল প্র্যাকটিস বলে, নিষিদ্ধ ক্রিকেটার চুক্তিতে থাকতে পারে না। আর শুধু আমরা চাইলেই এটি হবে না, আইসিসির বিধিও দেখতে হবে একটু। তবে নরম্যাল প্র্যাকটিস যেটি, আমরা সেই পদক্ষেপই নেব।”
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জুয়াড়িদের কাছ থেকে একাধিকবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসি বা বিসিবিকে জানাননি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার দুর্নীতি দমন আইনে এটি মারাত্মক অপরাধ। ভুল স্বীকার করলেও সাকিবকে ছাড় দেয়নি আইসিসি। তাঁকে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।