

দীপক আগারওয়াল নামের ভারতীয় জুয়াড়ির ফাঁদে পা না দিলেও প্রস্তাব পেয়ে আইসিসির দুর্নীতি (আকসু) দমন ইউনিটকে না জানানোর মাশুল গুনছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে নিয়ে আলোচনার সময়ই জানা যায় মুশফিকুর রহিমে কল লিস্ট ও ফোন চেক করে আকসু। কিন্তু সন্দেহজনক কিছুই পায়নি, এবার জানা গেছে আগারওয়াল ফিক্সিং প্রস্তাব দেয় দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকেও।
প্রায় একই ধরনের ক্ষুদে বার্তা তামিম ইকবালের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় আইসিসির তালিকাভুক্ত জুয়াড়ি আগারওয়াল। কিন্তু সাকিবের মত ভুল করেননি তামিম, সাথে সাথেই জানিয়েছেন বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে। ফলে সাকিবের মত বড় বিপদ আসেনি তামিমের ক্যারিয়ারেও।
আকসু যখন পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে তখন সাক্ষাৎকার নেয় তামিম ইকবালেরও। বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) মোর্শেদকে তামিম বিষয়টি জানানোর পরই মূলত আকসুও তামিমকে নিয়ে পর্যবেক্ষণে নামেন। যার সূত্র ধরে ঢাকার একটি হোটেলে তামিমের সাথে বসেন আকসুর প্রতিনিধি দল।
আকসুর কাছে পুরো ব্যাপারটি স্বীকার করার পাশাপাশি মেজর মোর্শেদকে (অবঃ) অবহিত করার বিষয়টিও জানান প্রতিনিধি দলকে। আর সেটার সত্যতা প্রমাণের পরই কোন ধরনের বিপদে পড়তে হয়নি তামিম ইকবালকে। আর এই জায়গাতেই ভুল করে বসেছেন বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান।
জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব তিনবার প্রত্যাখ্যান করলেও সেটা জানাননি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে। আইসিসির আইনে যা স্পষ্টভাবে সাজা পাওয়ার মত ভুল বলে উল্লেখ আছে। আর এ কারণেই দুইবছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যদিও দোষ স্বীকার ও তদন্ত কাজে আকসুকে সাহায্য করায় একবছরের নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে স্থগিত।