

তথ্য গোপনের অভিযোগে আইসিসির দুই বছরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানের ওপর। ফলে ভারত সফর তো বটেই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পোস্টারবয়। আইসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পর রাত সোয়া ৮ টা নাগাদ বিসিবিতে আসেন সাকিব, বিসিবি সভাপতিকে পাশে রেখে কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে।
গতকাল (২৮ অক্টোবর) থেকেই সাকিবের ভারত সফর নিয়ে হচ্ছিল জলঘোলা। সাকিব ভারত সফরে যাচ্ছেন কিনা নিশ্চিত করে বলতে পারছিলনা বোর্ড কর্তারাও। আজ (২৯ অক্টোবর) দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাকিবকে নিয়ে তৈরি হওয়া ধুম্রজাল সামনে আসে।
সেখানেই বলা হয় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা ফিরিয়ে দিলেও আইসিসিকে না জানানোয় তথ্য গোপন অপরাধে অভিযুক্ত হন সাকিব। সন্ধ্যায় ৭ টা নাগাদ আইসিসি বিবৃতি দিয়ে জানায় ২ বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন সাকিব। যদিও দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আগামীবছরই মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
বিসিবিতে এসে আইসিসিকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বক্তব্যটাই পেশ করেন শুরুতে,’আমি খুবই ব্যাথিত যেই খেলাটাকে আমি ভালবাসি সেই ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়ে। কিন্তু আমি আমার ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব আইসিসিকে না জানানোর জন্য পাওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইতে আইসিসি ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা করে, ক্রিকেটাররা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই ঘটনায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি।’
‘বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মতো আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতি ছাড়া খেলা হোক। আমি আইসিসিকে সহযোগিতা করবো যাতে অন্যরা আমি যে ভুল করেছি তা না করে।’
এরপর দেশের ভক্ত সমর্থক ও মিডিয়াকে এই খারাপ সময়ে পাশে থাকার অনুরোধ করে সাকিব বলেন,’আরেকটা জিনিস আমি বলতে চাই যেভাবে আপনারা আমাকে সমর্থন করে এসেছেন, বাংলাদেশের সব ক্রিকেট ভক্তরা, বাংলাদেশের সব মানুষরা, বিসিবি, সরকার থেকে শুরু করে মিডিয়া সবাই আপনারা আমাকে যেভাবে সমর্থন করে এসেছেন আমার ভালো ও খারাপ সময়ে।’
‘আশা করি এই সমর্থনটা থাকবে আর এই সমর্থনটা যদি থাকে ইনশাআল্লাহ আমি খুব শীঘ্রই ক্রিকেটে ফিরতে পারবো এবং আগের থেকে আরও স্ট্রং ও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।’