

ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) সবধরণের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোড লঙ্ঘন করা সাকিব আল হাসান তিনটি ভিন্ন চার্জে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সাকিব এটা স্বীকার করেছেন ও মেনে নিয়েছেন।
সাকিবের বিপক্ষে অভিযোগ ছিলো তাঁর কাছে এসেছিলো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেও সে সম্পর্কে জানান নি আইসিসিকে। তাই তাঁকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
যদিও তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তবে তাঁর সন্তোষজনক আচার-আচরণের কারণে সে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরে আবার মাঠে নামার জন্য ফ্রি হবেন।
তিন দফাতে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোড অফ কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৪.৪ লঙ্ঘন করেছেন সাকিব আল হাসান।
২০১৮ সালের শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে দুইবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করা সাকিব আইসিসিকে জানায়নি। এবং ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করা সাকিব আইসিসিকে জানাননি।
আইসিসির এন্টি করাপশন ট্র্যাইবুনালের শুনানিতে সাকিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেন সাকিব। সাকিব আইসিসিকে বলেন, ‘আমি খুবই ব্যাথিত যেই খেলাটাকে আমি ভালবাসি সেই ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়ে। কিন্তু আমি আমার ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব আইসিসিকে না জানানোর জন্য পাওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইতে আইসিসি ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা করে, ক্রিকেটাররা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই ঘটনায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি।’
‘বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের মতো আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতি ছাড়া খেলা হোক। আমি আইসিসিকে সহযোগিতা করবো যাতে অন্যরা আমি যে ভুল করেছি তা না করে।’
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এই ব্যাপারে বলেন, ‘সাকিব আল হাসান খুবই অভিজ্ঞ একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সে আইসিসির অনেক শিক্ষামূলক সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং জানেন কোড অফ কন্ডাক্টে কি আছে। তাঁর সবকটি ঘটনায় ই জানানো হয়েছিলো। সাকিব তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন এবং তদন্তে পূর্নাঙ্গভাবে সাহায্য করেছেন।’
Read the full media release here ➡️ https://t.co/oNrhhE33NH pic.twitter.com/2gFpBStSd3
— ICC (@ICC) October 29, 2019