

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাবার পরদিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এটাকে ষড়যন্ত্র বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষেও এসবের পেছএন ষড়যন্ত্র আছে বলেছিলেন তিনি। সবকিছু কার্যত বনিবনা হবার পরেও এখনো নাজমুল হাসান পাপনের ধারণা সবকিছুর পেছনে ছিলো ষড়যন্ত্রই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটিই জানিয়েছেন বিসিবি বস। তামিম ইকবালের গোটা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক লাগেনি তাঁর।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা খুশি হয়েছে জানি। কারণ, খেলা হবে, ওরা তো খেলতে চায়। কিন্তু এটা কি ওখানে যারা ছিল, সবাই চায়? তামিম আমাকে প্রথমে বলেছিল ও ভারতের শেষ টেস্টটা (কোলকাতা টেস্ট) খেলতে চাইছে না, কারণ ওই সময় ওর বাচ্চার ডেলিভারি।’
‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তামিম আমার রুমে গিয়ে বলল, ‘আমি যাব (ভারতে) না।’ আমি বললাম, ‘মানে কি, তোমার সঙ্গে তো কথা হলো শেষেরটায় থাকবে না। তাহলে এখন যাবা না কেন?’ ও তবু বলল, ও যাবে না। এখন সফরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে যদি শুনি আর কেউ যাবে না, তাহলে কেমন লাগবে?’
শুধু এটাই নয়, বিসিবি সভাপতির মনে এই শঙ্কাও আছে যে শেষ দিকে এসে আরো কেউ তামিমের মতো না যেতে পারে।
‘আমার তো বদ্ধমূল ধারণা যাবে না (আরো কেউ) এবং এমন এক সময় বলবে, যখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমি তো জানি না। সাকিবকে ডেকেছি আজ (গতকাল)। দেখি ও কী বলে। আরও অনেকে হতে পারে। আমি জানি না কারা, তবে তথ্য ছিল ওরা যাবে না।’
‘এখন তো ঘুরে গেছে পরিস্থিতি। ওরা হয়তো ভাবেনি এত তাড়াতাড়ি সব শেষ হয়ে যাবে। আমি কোনো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে শুনে বলছি না। তবু ৩০ তারিখ যদি ওরা বলে যাবে না, তখন কী করব? তখন তো পুরো কম্বিনেশন বদলাতে হবে। আমি তখন অধিনায়ক কোথায় পাব! এদের নিয়ে আমি কী করব বলেন?’