

পুরুষদের পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটও ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে । তবে বয়সভিত্তিকে ঠিক পর্যাপ্ত পরিমাণ পাইপলাইন এখনো তৈরি করতে পারেনি বিসিবি। এমনকি অনেকগুলো টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় সংকটে অংশগ্রহণ করতে না পারার নজিরও আছে। ভবিষ্যতে এসব থেকে বঞ্চিত না হওয়ার লক্ষ্যে বিসিবি ইতোমধ্যে পরিকল্পনা সাজানো শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী দলের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বয়স ভিত্তিকের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যেই নারীদের স্কুল ক্রিকেট সংযোজন হতে যাচ্ছে বলে জানান শফিউল আলম চৌধুরী, ‘আপনারা জানেন যে এইবার থেকে স্কুল ক্রিকেটটাও শুরু করতে যাচ্ছি। এইবার বলতে অন্যান্য টুর্নামেন্ট যেভাবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে চিন্তা করা হয়, স্কুল ক্রিকেটটা কিন্তু আপনি নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে পারবেন না। কারণ এই সময় বাচ্চাদের পরীক্ষা থাকে। আমরা এটাকে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে যাব।’
বয়সভিত্তিকে মনযোগ বাড়ানো গেলে সেটা ভবিষ্যতে জাতীয় দল গঠনে বেশ কাজে দিবে উল্লেখ করে নাদেল যোগ করেন, ‘আপনি যত বেশি প্রতিযোগিতা বা বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে কাজ শুরু করবেন আপনার নারী ক্রিকেটের বা মহিলা ক্রিকেট বলেন, প্রমিলা ক্রিকেট বলেন এটার ভিত কিন্তু তত শক্তিশালী হবে। আগে কিন্তু আমাদের এক ধরণের দল ছিল। এর বাইরে কিছু ছিল না। এরপরে দেখেন আমরা ‘এ’ দল করেছি। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ হচ্ছে, ১৭ এর হচ্ছে, স্কুল ক্রিকেট হচ্ছে। হয়তো এগুলো করে একটা ভীত শক্তিশালী হচ্ছে।’
নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে বোর্ডের বাজেট বেড়েছে বলেও জানান নারী দলের প্রধান, ‘আমাদের গত বছর যে বাজেটটা ছিল এই বছর কিন্তু প্রায় সেই বাজেটটা দ্বিগুণ করেছি। এটা কিন্তু আমাদের বোর্ড যদি সহযোগিতা না করতো তাহলে এটা সম্ভব ছিল না। আমাদের একটি লক্ষ্য হলো যে আমরা কিন্তু টেস্ট স্ট্যাটাস এখনো পাইনি।’
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার লক্ষ্যেই কার্যক্রম সাজাচ্ছে শফিউল আলম চৌধুরীর অধীনস্থ কমিটি, আর সেজন্য লঙ্গার ভার্সনে মনযোগী হচ্ছেন তারা। ‘আমাদের যদি টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে হয় আমাদের কিন্তু লঙ্গার ভার্সনে যেতে হবে। আগামী বছর থেকে আমরা লঙ্গার ভার্সন শুরু করতে যাচ্ছি। আপনারা হয়তো জানেন যে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৭ এর টুর্নামেন্ট সম্ভবত ছিল। সেটা আমরা মিস করেছি। আমাদের যেহেতু এই প্রোগ্রাম নেই, এই কারণে আইসিসি আমাদেরকে এই জায়গায় সুযোগ দেয়নি।’