

তিন বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন পেসার আল আমিন হোসেন। মূলত মাঠের বাইরের ‘ব্যাড বয়’ তকমাই তাকে দল থেকে দূরে সরায়। ঘরোয়া লিগের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সাথে বেশ ভালো ফিটনেসই তাকে দলে আবারও জায়গা দেয়। শৃঙ্খলা নিয়ে এবার বেশ সচেতন হয়েছেন, অনুধাবন করেছেন জানালেন ডানহাতি এই পেসার।
মাঠের বাইরের ‘ব্যাড বয়’ প্রসঙ্গ উঠতেই নিজের দর্শন তুলে ধরেন আল আমিন, অতীতের ভুল সামনে হবে না বলেও দিলেন আশ্বাস,’এটা তো সাড়ে তিন বছর আগে ছিল। এটা ব্যাড ইমেজ বলেন, ডিসিপ্লিন বলেন সবকিছু মিলিয়ে দলের বাইরে ছিলাম। দলের বাইরে থাকলেই নিজের সমস্যা গুলো থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়। চেষ্টা করেছি সাড়ে তিন বছরে অনেক কিছু শেখার। যে ভুলগুলো অতীতে হয়েছে, ক্রিকেটের বাইরে আগে সেগুলো আর হবে না।’
অনুশীলন ক্যাম্পে কোচদের সাথে কি নিয়ে কাজ হচ্ছে জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, ‘এখানে মূলত পরিকল্পনা নিয়ে কথা হচ্ছে। স্কিল কিন্তু একেক জনের একেক রকম। পরিকল্পনা থাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হয়। প্রয়োগ কিন্তু আমার দায়িত্ব। আমাকে প্ল্যান দেবেন এটা কাজে লাগাতে পারলেই বোলিংটা ভালো হবে, আমি সফল হবো। দুটোরই ভালো কম্বিনেশন থাকতে হবে। সবকিছু দুজনই (পেস বোলিং কোচ) শেয়ার করছি।’
তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপালেও মূলত টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ বোলারই বলা হয় আল আমিনকে। ৬ টেস্ট আর ১৪ ওয়ানডের বিপরীতে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২৫ টি। ২৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৩৯ টি, ২০১৬ সালে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ঢুকেছিলেন বোলিং র্যাংকিংয়ে সেরা দশেও। নিজেকে অন্য ফরম্যাটে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি নাকি অন্যকিছু?
আল আমিন দিয়েছেন ব্যাখ্যা, ‘আমার যখন ২০১৩ তে অভিষেক হয়েছে, এরপর ২০১৪ তে একটা বিশ্বকাপ ছিল, ২০১৬ তে একটা বিশ্বকাপ ছিল। ২০১৫ বা ১৬ তে এশিয়া কাপ ছিল। এসময় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা বেশি খেলেছে। ওই সময় কার্যকরী বোলিং ইউনিটের কারণে খেলতাম নিয়মিতই। টিমের যখন টি-টোয়েন্টি বেশি খেলা হয় তখন তো বেশি খেলবই। ৫-৬ টা টেস্ট খেলেছে, ১৩-১৪ টা ওয়ানডে খেলেছে। টি-টোয়েন্টি বেশি খেলেছে এজন্য টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারটা বেশি সমৃদ্ধ।’