

প্রথমবারের মত দেশের মাটিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান দল। জাহানারার শিকার ৪ উইকেট।
আজ দুপুরে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের দুই ওপেনারের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার সিদ্রা আমিনকে ৪ রানে বোল্ড করেন জাহানারা আলম। তৃতীয় ওভারে জাহানারার দ্বিতীয় শিকার হন ৫ রান করা জাবেরিয়া খান।
এরপর অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ও উমাইমা সোহাইল মিলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৭৫ রানে বিসমাহ মারুফ (৩৪ রান) লতা মন্ডলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। এরপর আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উমাইমাও; ৩৩ রান করা উমাইমা রুমানা আহমেদের বলে পান্না ঘোষের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন।
আলিয়া রিয়াজ করেন ৭ রান। ১৯ তম ওভারে ১ বলের ব্যবধানে ইরাম জাভেদ ও কায়নাত ইমতিয়াজকে বোল্ড করে ফেরালেন পেসার জাহানারা আলম।
শেষ ওভারে ১৭ রান হজম করেন স্পিনার সালমা খাতুন। সিদ্রা নাওয়াজ শেষে ৫ বলে ৪ চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আর তাতেই পাকিস্তান নারী দল ৭ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১২৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন জাহানারা আলম। ১টি করে উইকেট পান রুমানা, পান্না ও লতা মন্ডল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তান নারী দলঃ ১২৬/৭ (২০ ওভার) সিদ্রা আমিন ৪, জাবেরিয়া ৫, বিসমাহ ৩৪, উমাইমা ৩৩, আলিয়া ৭, ইরাম ২১, ডায়ানা ২*, সিদ্রা নাওয়াজ ১৬*; জাহানারা ৪/১৭, রুমানা ১/১৪, পান্না ১/২৪, লতা ১/১৯
১০ দিনের পাকিস্তান সফরে তিন টি-টোয়েন্টি ছাড়াও দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচই হবে একই ভেন্যুতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরের দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ২৮ ও ৩০ অক্টোবর। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ২ নভেম্বর। দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে ৪ নভেম্বর।