

বুধবার রাতের এক বৈঠকে অবসান ঘটলো দেশের ক্রিকেটকে হাতছানি দিয়ে ডাকা এক অশনি সংকেতের। বিসিবি ও ১৩ দফায় (১১ দফার পর নতুন দুটিসহ) আন্দোলনকারী ক্রিকেটারদের আলোচনার পর মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের। দু পক্ষের আলোচনা শেষে বোর্ড সভাপতি বলেন অনেক কিছুই তার অজানা ছিল, ক্রিকেটারদের সাথে বৈঠকের পর জানতে পারলেন।
সাধারণত জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া বিসিবির সভাপতি কিংনা বোর্ড কর্তাদের সান্নিধ্য পান খুব কম ক্রিকেটারই। প্রথম শ্রেণি, প্রথম বিভাগের অনেক ক্রিকেটারের সমস্যা তাই সমস্যাই থেকে যায়। ১১ দফা আন্দোলন ইস্যুতে বোর্ডের সাথে বৈঠকে বসার সুযোগ হয় তাদের। সুযোগ পেয়ে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরতে ভুলেননি, ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বোর্ড সভাপতিও। ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধানে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পরামর্শও দেন বিসিবি বস।
এ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘অনেককিছু ছিল যেসব আমি অবশ্য অন্তত ব্যক্তিগতভাবে আগে জানতাম না। আজকে (বুধবার) এসব জায়গার খেলোয়াড়, প্রথম বিভাগ তারপর বাইরে থেকে যারা এসেছে ওদের সাথে আলোচনার পর শুনেছি ওদের আরও বেশ কিছু সমস্যা আছে। আমরা সবগুলো সমাধানতো এখানে বসে করতে পারবনা। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সমস্যা আমাদের কাছে যদি লিখিত আকারে পাঠিয়ে দেয় আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো।’
এদিকে চলতি জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড শুরুর কথা ছিল আজ (২৪ অক্টোবর) থেকে। অথচ গতকাল রাতেও ক্রিকেটাররা যায়নি নিজ নিজ ভেন্যুতে মূলত যা ধর্মঘটেরই অংশ। ফলে জাতীয় লিগের এই রাউন্ড যে যথাসময়ে মাঠে গড়াচ্ছেনা ছিল নিশ্চিতই। বৈঠক শেষে বিসিবি বসও জানিয়েছেন সেটিই, ‘আমরা ভেবেছি এনসিএল তৃতীয় রাউন্ড ওটা কালকেই (২৪ অক্টোবর) শুরু হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত যেহেতু ওরা ওখানে যায়ইনাই তো কালকে (২৪ অক্টোবর) শুরু হবে কীভাবে? এটাতো হবেনা।’
যথাসময়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পেও যোগ দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা উল্লেখ করে পাপন বলেন ‘আমরা ওরা আসার আগে ভেবেছিলাম এবারের তৃতীয় রাউন্ডটা বাদ দিয়ে দিচ্ছি। এবার আর হবেনা কিন্তু ওরা বলছে যে খেলতে চায়। এটা যদি একটু পিছিয়ে করা যায় ওদের জন্য ভালো হয়। আমরা বলেছি ঠিক আছে শনিবার থেকে তৃতীয় রাউন্ড আমরা শুরু করবো। জাতীয় দলের ক্যাম্প ২৫ তারিখে , জাতীয় দলের যারা আছে তারা ওইদিনই জয়েন করবে।’