

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ক্রিকেটার’রা। আজই বিসিবিতে যেতে পারেন সাকিব, তামিম’রা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের সিক্স সিজন্স হোটেলে অপেক্ষায় রেখে আবারও আলোচনা করে সাকিব আল হাসান বিসিবির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে জানাবেন।
সিক্স সিজন্স হোটেলের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় ক্রিকেটার’রা কখন বসবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আরেকবার আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবং সেটা খুব দ্রুত।’
‘সিদ্ধান্ত যেহেতু সবাই মিলে নিয়েছি, সেক্ষেত্রে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তও সবাই মিলে নিতে হবে। সেদিন সময় কম থাকায় আমরা ওভাবে গুছিয়ে দাবি উপস্থাপন করতে পারিনি। আর সেজন্য বিষয়টা সুন্দর করে আয়োজনের উদ্দেশ্যেই আমাদের সময় নেওয়া। বিসিবি আমাদের ডেকেছে, আমরা নিজেরাই যোগাযোগ করে আলোচনায় বসবো।’
‘আমরা কেউ কারও থেকে দূরের নই। দুপক্ষ মিলেই কিন্তু বিসিবি। বিসিবির প্রতি ব্যক্তিগত সম্মানের জায়গা আমাদের আগের মতই আছে। ক্রিকেটাররাও খেলতে চায়, সুস্থ থাকতে চায়, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আজকেই যাবো কিনা। আপনাদের হয়তো আবার ডেকে জানাবো নাহয় যাওয়ার সময় বলে যাবো।’
আজ গুলশানের সিক্স সিজনস হোটেলে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পূর্বের ১১ দফা দাবির সঙ্গে আজ আরও দুটি দাবি অর্থাৎ সর্বমোট ১৩টি দাবি জানায় বাংলাদেশের ক্রিকেটার’রা। ক্রিকেটারদের মুখপাত্র আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
‘সব দাবির প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন হলে আসন্ন ভারত সফরে কোনো প্রভাব পড়বে না। বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের আলোচনা হলেই সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে আশা করি।’
Details- https://t.co/NhM0WJyMKV#BCB #PlayersProtest pic.twitter.com/AQA0P4rL7D
— Cricket97 (@cricket97bd) October 23, 2019
১৩ দফা দাবিঃ
১. কোয়াবের বর্তমান কমিটিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২. প্রিমিয়ার লিগ আগের মত করতে হবে। নিজেদের ডিল করতে দিতে হবে।
৩. এ বছর না হোক, তবে পরের বছর থেকে আগের মত বিপিএল হতে হবে, স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাম বাড়াতে হবে।
৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি বাড়াতে হবে, বেতন বাড়াতে হবে, ১২ মাস কোচ ফিজিও দিতে হবে, প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫.রিমিউনারেশন বাড়াতে হবে। ভালো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ও তাঁদের বেতন বাড়াতে হবে।
৭. দেশি সব স্টাফদের বেতন বাড়াতে হবে, কোচ থেকে গ্রাউন্ডসম্যান, আম্পায়ার সবার বেতন বাড়াতে হবে।
৮. ঘরোয়া ওয়ানডে লিগ বাড়াতে হবে, বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টি লিগ করতে হবে।
৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।
১০. সব লিগে ক্রিকেটারদের পাওনা টাকা সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
১১. ফ্রাঞ্চাইজি লিগ দুইটার বেশি খেলা যাবে না-এমন নিয়ম তুলে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে সবাই খেলবে।
১২. বিসিবির যে রেভিনিউ জেনারেট হচ্ছে তার একটা অংশ ক্রিকেটারদের দিতে হবে।
১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্যও একই রকম নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ক্রিকেটাররা মনে করে নারী ক্রিকেটাররাও সমান অধিকার ডিজার্ভ করে।