

এমনিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এক ফরম্যাটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডে অধিনায়ককে খুব বেশি ক্রিকেটীয় কাজে দেখা যাচ্ছে না। মাশরাফির আরো এক পরিচয় আছে, তিনি একজন সংসদ সদস্যও বটে। ক্রিকেট পাড়ায় যে সংকটময় পরিস্থিতি চলমান তা নিরসনের জন্য মাশরাফিকেই দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিসিবির সহ সভাপতি মাহবুব আনাম এই প্রসঙ্গে দৈনিক সমকালকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ডেকেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। এরপর মাশরাফিকে দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরে আসার বার্তা দিতে।’
জনপ্রিয় এই দৈনিকে বলা হচ্ছে ইতোমধ্যেই মাশরাফি মারফত এই বার্তা পৌঁছে গেছে আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের কাছে। বিসিবিও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে মূল্যায়ন করে মাঠে ফিরবেন ক্রিকেটাররা।
উল্লেখ্য, ১১ দফা দাবি নিয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা অনেকে মিলে হাজির হয়েছিলেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। সেখানে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। এই সময় দেখা যায়নি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
আন্দোলন, ধর্মঘট সম্পর্কে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি উল্লেখ করে এই দাবিদাওয়ার সঙ্গে তিনিও একমত হন তিনি। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় এমনটি লিখে পোস্ট করেন তিনি।
ক্রিকেটারদের দাবি দাওয়া ও ধর্মঘট নিয়ে বিসিবি সভাপতি গতকাল (২২ অক্টোবর) যে সংবাদ সম্মেলন করেন তাতে ক্রিকেটারদের প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত বিষয়ও গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বলাই যায় এখন পরস্পরবিরোধী অবস্থানে ক্রিকেটাররা ও বিসিবি। সেক্ষেত্রে দুই পক্ষকে এক করে ক্রিকেটাঙ্গন আবারো সচল করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় পক্ষ হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।