

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে আজ বোর্ড সভা শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করছে বিসিবি। বিসিবির পক্ষে কথা বলছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আমি শকডঃ
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। আমি শকড। কি কারণে আমি শকড তা বোঝাতে একটু সময় লাগবে আপনাদের। আসলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তো আমার খুব ভালো ব্যক্তিগত সম্পর্ক। ইমরুল কায়েসের ছেলের অসুস্থতার সময় ওর সাহায্য করেছি। আমারে ফোন দিল তার ছেলের খুব খারাপ অবস্থা, আমি একদিনের মধ্যে ভিআইপি ব্যবস্থা করে ভিসা ম্যানেজ করে দিয়েছি। তামিম ইকবাল যখন দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নামলো না আমি ফোন করলাম তুমি কেনো নাই। সাকিবের সাথেও নিয়মিত কথা হয় আমার।’
কোয়াবের সঙ্গে বিসিবির সম্পর্ক নেইঃ
কোয়াবের সদস্যদের পদত্যাগ সম্পর্কে বিসিবির কিছু করার নেই। বিসিবির সঙ্গে কোয়াবের কোন সম্পর্ক নেই।
ডিপিএল নিয়ে কথা বলতে যেয়ে পাপন বলেন, ‘একমাস আগে সিসিডিএম নিয়ে বসেছে, ডিপিএলে ওরা (ক্রিকেটার) যা চেয়েছে তাতেই বোর্ড সায় দিয়েছে।’
বিপিএলঃ
নাজমুল হাসান পাপন বিপিএল প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে শুরু থেকেই বলে আসছি এই আয়োজন এবারের জন্যই। তো আগের ফরম্যাটে যাওয়ার জন্য আলাদা দাবির কিছু নেই।’
‘চিটাগাংয়ে জিম, সিলেটে জিম করেছি, একাডেমি করেছি। আম্পায়ারদের বেতন ভাতা বাড়ানোর কথা বলেছি। সবকিছুই হচ্ছে। তাহলে দাবির কি আছে?’
ক্রিকেটারদের সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাচ্চা সহ নিয়ে গেছি, তাদের বাচ্চারা উনার কোলে খেলে। আর কি সম্মান দেওয়া?’
বিসিবিকে না বলে আগেই মিডিয়াতে আসার কারণে ক্ষুদ্ধ বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের বলেনি, মিডিয়াতে বলল। বিশ্ব মিডিয়ায় মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এসিসি ফোন দেয়, আইসিসি ফোন দেয়।’
কোচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভেট্টোরি আসছে, বিদেশি কোচ। এদের তাদের পছন্দ না। ওরাতো বলেই ওদের কোচ লাগবেনা। এখন মনে হয় দেশি কোচ চায়।’
‘ভারতে ফুল সিরিজ খেলার জন্য কত অনুনয় বিনয় সবার। সেটা আয়োজন করলাম ঠিক ওই সময়েই ধর্মঘট, ক্যাম্পে যাচ্ছেনা। এটা আমাদের বোঝার বাকি নাই, ওরা কিসের উন্নয়ন চায়। এসব দাবিতো মেনে নেওয়ার মতই। তো ধর্মঘট কেন? ওরা কিন্তু আলোচনা করতে এখনো আসেনি। আমরা ফোন দেই ফোন ধরেনা। এটা পরিষ্কার যে বিশেষ পরিকল্পনা করে এমনটা করা। মূলত আমাদের একজন ডিরেক্টর যেদিন গ্রেফতার হয়েছে সেদিন থেকেই আমার পেছনেও লেগেছে ওই চক্র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অচল করার চক্রান্ত চলছে, এটা সবাই জানে। কারা করছে আমরা জানি। ভারত সফরটা বাতিল করাতে পারলে আইসিসির কাছে আমাদের মানক্ষুণ্ণ করে বিসিবিকে পেছনে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। আমার মনে হয় দুই একজন ক্রিকেটার এসব জেনেই আন্দোলনে নেমেছে। সবাই কিন্তু না, অনেকেই এসব না জেনে তাদের সাথে যোগ দিয়েছে।’