

একটা সময় শাহরিয়ার নাফিস যখন তারকা হয়ে উঠছিলেন, মোহাম্মদ আশরাফুল তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। দুজন একসাথে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশ দলের। আইসিএল বিতর্কে নাফিস, পরে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে আশরাফুল জড়িয়ে পড়ার পর আর ওভাবে আলোচনায় নেই তাঁদের নাম। ৩৫ বছর বয়সী আশরাফুল, ৩৪ বছর বয়সী নাফিস। দুজনে ধারেকাছেই নেই জাতীয় দলের।
এবার জাতীয় লিগে দুজনই খেলছেন এক দলের হয়ে। এমনিতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে জাতীয় লিগের ২১ তম আসরে তিনি খেলছেন নাফিসের দল বরিশালের হয়ে। প্রথম রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে ১ ইনিংসে ব্যাট করে আশরাফুল করেছিলেন ৬ রান। দ্বিতীয় রাউন্ডের ১ম ইনিংসে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে ফিরেছিলেন ২১ রান করে।
অন্যদিকে সিলেটের বিপক্ষে ৬৩ রান করা নাফিস চট্টগ্রামের বিপক্ষে চলতি ম্যাচে ১ম ইনিংসে ১৭ রান করেন। দুজনই অবশ্য রান পেয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে।
ফতুল্লায় আজ ম্যাচের শেষ দিন। জয়ের জন্য বরিশালের সামনে ৩৩৬ রানের অসাধ্য (সময় বিবেচনায়) লক্ষ্য দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম (১৯৫/৬)।
৬৮ ওভার উইকেটে টিকে থেকে ম্যাচ বাঁচানোতেই মনযোগ দেবার কথা বরিশালের। তবে নাইম হাসানের করা প্রথম ওভারেই ওপেনার রাফসান আল মাহমুদের উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। স্কোরবোর্ডে কোন রান না জমা হবার আগেই উইকেট হারানো বরিশাল ভরসা পায় শাহরিয়ার নাফিস-মোহাম্মদ আশরাফুল জুটিতে।
৩৬.২ ওভারে ১০০ রানের গন্ডি পার করে আশরাফুল-নাফিস জুটি। মেহেদী হাসান রানার বলে চার মেরে নিজের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ৩৩ তম ফিফটি তুলে নেন আশরাফুল। আশরাফুল-নাফিসের ১১৩ রানের জুটি ভাঙে মাসুম খানের বলে আশরাফুল তাসামুল হককে ক্যাচ দিলে।