

সাইফ হাসানের ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়া ঢাকা বিভাগকে জবাবটা খারাপ দিচ্ছেনা রংপুর বিভাগ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লিটন-নাইমের সেঞ্চুরির পরও অবশ্য ২২২ রানে পিছিয়ে দিনশেষ করেছে রংপুর। তবে অপরাজিত থাকা নাইম-তানবীরে ভরসা নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটির।
আগের দিন ৪৮৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করা রংপুরের লিটন দাস অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে, নাইম ইসলাম ৮ রানে। আজ (তৃতীয় দিন) প্রথম শ্রেণির ২৩ তম হাফ সেঞ্চুরিকে রুপ দিয়েছেন ১৪ তম সেঞ্চুরিতে। লাঞ্চের আগেই ১৩৩ বলে ১৩ চারে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান লিটন, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন নাইম ইসলাম।
দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৫৪ রান। ১৮৯ বলে ১৪ চারে ১২২ রান করে সুমন খানের বলে লিটন ফিরলে ভাঙে জুটি। লিটন যখন ফিরে যান তখন দলীয় সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৮। লিটনের পর দ্রতই ফেরেন রংপুর অধিনায়ক নাসির হোসেনও। ১০ বলে মাত্র ১ রান করে সুমন খানের বলেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা নাসির।
এরপর লড়াইটা চালিয়ে যান নাইম ইসলাম, আরিফুল হককে (১৭) নিয়ে লম্বা জুটির ইঙ্গিত দিলেও বেশিদূর এগোয়নি তাদের চেষ্টা। আরিফুলের বিদায়ের পর ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে তানবীর হায়দারকে নিয়ে অবিচ্ছেদ্য ৯৬ রানের জুটিতে দলকে পথে রাখেন নাইম। রংপুর দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানে। নাইম তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২৭ তম সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন তানবীর হায়দারও।
২২৯ বলে শতকে পৌঁছানো নাইম দিন শেষ করেন ২৯৬ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় ১২৪ রানে ও তানবীর হায়দার ১০১ বলে ৭ চারে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে। ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রানের জবাবে এখনো ২২২ রানে পিছিয়ে রংপুর। ঢাকার হয়ে সালাউদ্দিন শাকিল ও সুমন খান দুটি করে উইকেট নেন, একটি উইকেট শিকার করেন নাজমুল ইসলাম অপু।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (তৃতীয় দিন শেষে)
ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংস ৫৫৬/৮ (ইনিংস ঘোষণা)
রংপুর বিভাগ প্রথম ইনিংস ৩৩৪/৫ (১০৮), লিটন দাস ১২২, হামিদুল ৯, মাহমুদুল ০, নাইম ১২৪*, নাসির ১, আরিফুল ১৭, তানবীর হায়দার ৫২*; সালাউদ্দিন শাকিল ৭৭/২, সুমন খান ৭০/২, নাজমুল ইসলাম ১০৪/১, তাইবুর ৯/০, শুভাগত ৫৮/০, সাইফ ১১/০।