

মিরপুরে জাতীয় দলের অনুশীলন করার জন্যে যে ইনডোর আছে, তার সুবিধা ভালো নয়। নেই কোন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি), এসির বদলে ফ্যানের নিচেই ইনডোরে খেলোয়াড়’রা অনুশীলন চালিয়ে যান। গরমে বেশিক্ষণ ব্যাটিং-বোলিং করতে পারেন না সাকিব-মাশরাফিরা। দৈনিক সমকালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাকিব জানালেন, ‘১০ বছর ধরে বলার পরও মিরপুরের ইনডোরে এসি লাগেনি।’
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছাড়াও খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য রয়েছে ইনডোর। ইনডোরে আলোর স্বল্পতা কিংবা এসির ব্যবস্থা না থাকায় নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যাটিং করতে পারেননা খেলোয়াড়রা। এ নিয়ে সাকিব আল হাসান দৈনিক সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝাড়লেন।
বাংলাদেশের নির্বাচকরা বলছেন, ভবিষ্যতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে না খেললে বিপিএল খেলতে দেওয়া হবে না। ভারতেও এই নিয়ম আছে। এই বিষয়ের সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন,
‘এটা নির্ভর করে আলাদা আলাদা খেলোয়াড়ের ওপর। আমি বিদেশে টুর্নামেন্টগুলো খেলি। দেশের সেভাবে খেলতে পারি না। এজন্য আমাকে জাতীয় দলে খেলতে দেবেনা, তা তো নউ। আমি মনে করি, এই লিগগুলোকে এমন আকর্ষণীয় করে তোলা উচিত যাতে ক্রিকেটাররা খেলতে বাধ্য হয়। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা কেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে? কারণ ওদের প্রথম শ্রেণির লিগ অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আমাদের দেশে ৩৫-৪০ টি টিভি চ্যানেল আছে। লিগের খেলাগুলো যদি টিভিতে ফ্রি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে দেখবেন অন্যরকম হবে।’
দেশের ক্রিকেটে উন্নয়নের জায়গা কোথায় জানাতে সাকিব বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় , কাঠামোগত উন্নয়নও অনেক বেশি জরুরি। ত্রিদেশীয় সিরিজে সম্ভবত তিনবার বিদ্যুৎ চলে গেছে। এই জায়গাগুলোতে উন্নয়ন দরকার। ঢাকার বাইরেও যে ক্রিকেট আছে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ক্রিকেট না। খুলনা, সিলেট বা অন্যান্য ভেন্যুতে যেসব বিদেশি দলকে নেওয়ার সুযোগ আছে , সেই সিরিজগুলো ঐ ভেন্যুতে হতে পারে। এতে ঐ জায়গার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। শুধু জাতীয় দলকে নিয়ে ফোকাস করা আমার মনে হয় সংগঠকদের মূল কাজ না। খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেটে যে স্টেডিয়ামগুলো আছে , সেখানে একটা প্রোপার জিম, রানিং ট্র্যাক এবং মানসম্মত ইনডোর সুবিধা গড়ে তোলা। মিরপুরে জাতীয় দলের ইনডোর সুবিধা ভালো নয়। গ্রীষ্মকালে ওখানে ১৫ মিনিটের বেশি ব্যাটিং করা যায় না, এত গরম। ১০ বছর ধরে বলার পরও মিরপুরের ইনডোরে এসি লাগেনি। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা যখন অন্যান্য দেশের ইনডোরগুলো দেখি… ফকফকা লাইটের আলো, এসি লাগানো।’