

ব্যাট হাতে করেছেন ১৯ বলে ২ চারে ৯ রান। খুব বেশি কিছু নয়। তবে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অনেক। ২৩৯ রানে খুলনার ৮ম উইকেটের পতন ঘটেছিলো। তখনও রাজশাহীর চেয়ে ২২ রান পিছিয়ে খুলনা। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান, লিড নিশ্চিত করে খুলনা। পরে বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই ফিজ তুলে নিয়েছেন উইকেট।
৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলো খুলনা। ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, ৭ রান করে অধিনায়ক খান আব্দুর রাজ্জাক। দলীয় ২৩৮ রানের মাথায় শফিউল ইসলামের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১২ রান করা আব্দুর রাজ্জাক। ১ রান পরে কোন রান না করে ফরহাদ রেজার বলে আউট হন রুবেল হোসেন।
মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খুলনাকে লিড পাইয়ে দেবার কাজটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল। মুস্তাফিজের সঙ্গে ৪০ ও আল আমিনের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন তিনি। তিন অঙ্কের রান পাবার খুব কাছে ছিলেন। তবে ১০৯ তম ওভারের ৩য় বলে সানজামুলের বলে আল আমিন (১) আউট হলে সে স্বপ্ন ভাঙে সোহানের। ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ১ম ওভারের চতুর্থ বলেই মুস্তাফিজের বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিজানুর রহমান। ১ম ইনিংসেও মুস্তাফিজের বলে আউট (বোল্ড) হয়েছিলেন মিজানুর।
৩য় দিন লাঞ্চ বিরতিতে রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ১১/১। মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার- ২-১-১-১। খুলনার চেয়ে ৩৭ রানে পিছিয়ে আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।