

নানা নাটকীয়তার পর বিপিএল আয়োজন নিয়ে শক্ত অবস্থানে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়ে বিসিবির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল, তবে যথাসময়ে আয়োজন নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। বিসিবি সভাপতি সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন সম্ভাব্য প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখও।
‘টুর্নামেন্ট পেছানোর কোন সম্ভাবনা নাই কারণ এরপরই আমাদের একটা সফর আছে। পাকিস্তান সফর, ওই কথাটা চিন্তা করেই যথাসময়ে শেষ করতে হবে। যদি আমরা পাকিস্তান যাই, এটাও অবশ্য নির্ভর করছে পুরোপুরি নিরাপত্তা অনুমতির উপর।’ বিপিএল যথাসময়ে হবে কিনা জানাতে গিয়ে এমনটাই বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
পাকিস্তান সফর লক্ষ্য করেই বিপিএল নির্ধারিত সময় শেষ করতে চায় বিসিবি, ‘নিরাপত্তা টিম গতকাল চলে গেছে, ওদের রিপোর্টের উপরই সব নির্ভর করছে। টিম যদি ওখানে যায় তার আগেই আমাদের খেলাটা শেষ করতে হবে। খুব একটা সময় নেই। একটা জিনিস আছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেহেতু এবার আমরা করতে যাচ্ছি সেজন্য দুই একদিন এদিক সেদিক হতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত না, আমরা পরিকল্পনা করছি যথাসময়েই করার।’
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরই বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে যোগ করেন নাজমুল হাসান পাপন, ‘আপাতত আমরা ঠিক করেছি নভেম্বরের ১২ তারিখের দিকে। ১০ তারিখ পর্যন্ত তো খেলা আছে, ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওটা শেষ করে ১২ তারিখ নাগাদ আমরা সম্ভাব্য একটা তারিখ আজকে ঠিক করেছি যে কবে প্লেয়ার্স ড্রাফটটা হবে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের আয়ের একটি বড় উৎস কিন্তু বিসিবি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আসন্ন বিপিএল আয়োজন করছে বলে ক্রিকেটাররা আছেন আর্থিক শঙ্কায়। কেমন হচ্ছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কাঠামো? ‘একটা তৈরি করা হয়েছে, আগের মতো হবে না।যে হেতু বিসিবি নিজেরা করছে তাই আগের মতো অত বেশি হবে না, তবে খারাপ হবে না। পারিশ্রমিকের ব্যাপারটি এখনই বলছি না এর মধ্যে একটু পরিবর্তন আসতে পারে সেই কারণে। এখনই চূড়ান্তটি বলে দেয়ার পরে যদি আবার পরিবর্তন হয়, বেশি কিংবা কম হয় তাহলে তো সমস্যা। এখন পর্যন্ত আমরা যেটি দেখেছি খুব একটা হেরফের নেই। তবে একদম আগের মতো না, একটু কম আছে।’