

জাতীয় লিগে সবচেয়ে বেশি বার শিরোপা জেতা দল খুলনা ও রাজশাহী (৬ বার করে)। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম, টানা তিনবার শিরোপা জিতেছিলো খুলনা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে শিরোপা জেতা ২০১৯-২০ মৌসুমে খেলছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে। ২১ তম জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে খুলনা ও রাজশাহী।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে সফরকারীদের ব্যাট করতে পাঠান খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১২ বলে ৪ রান করা মিজানুর রহমানকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান এবারের জাতীয় লিগে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য এই ক্ষতি পুষিয়ে নেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন। ৮১ রানের জুটি ভাঙে মুস্তাফিজেই। ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে থাকা ফরহাদকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান দ্যা ফিজ।
চারে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়া শান্ত করেন ৩৩ বলে ২৩ রান। ফফটি পূর্ণ করে বেশীক্ষণ টেকেননি আগের রাতেই টি-১০ লিগে দল পাওয়া জুনায়েদ সিদ্দিকী। ১৩৭ বলে ৫১ রান করা জুনায়েদকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
উইকেটরক্ষক শাকির হোসেন দ্রুত সাজঘরে ফেরেন আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে। ভালো কিছুর ইঙ্গিত ছিলো মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ৫১ বলে ২৪ রানের সাবধানী ইনিংস শেষ হয় আল আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হলে।
১৭০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসা রাজশাহী ভরসা খোঁজে ফরহাদ রেজা-সানজামুল ইসলামের ৭ম উইকেট জুটিতে। এই জুটি থেকে আসে ৫৬ রান। ২৩ রান করে মিরাজকেই ক্যাচ দিয়ে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সানজামুল। ৪১ রান করা ফরহাদ রেজাকেও পরে ফেরান মিরাজ। শফিউল ইসলামকে কোন রান না করতে দিয়ে আউট করেন রুবেল হোসেন।
২৪৬ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর তাইজুল ইসলাম হতাশ করছিলেন খুলনার বোলারদের। ৩৩ বলে ৫ চারে ২৯রান করা তাইজুলকে আউট করে সে হতাশা দূর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮৫.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৬১ রান তুলেই অলআউট হয় রাজশাহী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম দিন শেষে):
রাজশাহী ২৬১/১০ (৮৫.৩), মিজানুর ৪, জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ ৪৫, শান্ত ২৩, মুশফিক ২৪, শাকির ৩, রেজা ৪১, সানজামুল ২৩, তাইজুল ২৯, শফিউল ০, মোহর ০*; মুস্তাফিজ ১৫-১-৬৪-২, আল আমিন হোসেন ১৪-৫-২০-১, রুবেল ১২-২-৫১-২, মিরাজ ২১.৩-৩-৩৮-৪, রাজ্জাক ২৩-৪-৭২-১।