

সদ্য সমাপ্ত সিপিএল (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ জয়ের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়েছে সাকিব আল হাসানের। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের শিরোপা জয়ের ফলে ৬ষ্ঠ বারের মত ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হয়েছেন সাকিব (ফাইনাল খেলেছেন এমন)। সিপিএল শেষ করে গতকাল (১৫ অক্টোবর) রাতেই দেশে ফেরেন সাকিব, বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন সিপিএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে ভারত সফরে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে চলে যান বাংলাদেশের পোস্টার বয়। প্রথমে প্লেয়ার ড্রাফটে নাম না দিলেও পরবর্তীতে তাকে দলে ভেড়ায় সিপিএলে তার পুরোনো দল বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস। প্রাথমিকভাবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বিসিবির অনাপত্তিপত্র নিয়ে যান সাকিব পরে দল ফাইনাল খেলায় ক্রিকেট অপারশন্স বিভাগের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে বাড়িয়ে নেন অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ।
শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষদিকে ব্যাটে-বলে ঠিক সাকিবময় পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৮.৫০ গড়ে ১১১ রান এবং বল হাতে ৬ ম্যাচে উইকেট চারটি। প্রথম তিন ম্যাচেই চার উইকেট নেওয়া সাকিব শেষ তিন ম্যাচে ছিলেন উইকেট শূন্য। দলের শিরোপা জয়ের ফাইনালে ব্যাট হাতে ১৫ রান করলেও বল হাতে ১৮ রান খরচায় নিতে পারেননি কোন উইকেট। তবে সাকিব আশাবাদী সিপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে পরবর্তী সিরিজে।
গতকাল (১৫ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘আমি যখন গিয়েছি দলের অবস্থাও খুব খারাপ ছিল শেষের দিকে। তারপরও ভালোভাবে কোয়ালিফাই করে দ্বিতীয় অবস্থানে যাওয়াতে একটা সুবিধা হয়েছে। প্রতি ম্যাচেই আসলে কেউ না কেউ অবদান রেখেছে বলেই দলটা আসলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যদিও আমার মনে হয় না কেউ খুব বেশি আশা করেছে ওই টুর্নামেন্ট থেকে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছি খুব ভালো লাগছে।’
নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাকিব জানান ‘যেকোন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেতো অবশ্যই ভালো লাগে। সেদিক থেকে আমি মনে করি এই অনুশীলন ও ম্যাচগুলো আমার কাজে লাগবে যেহেতু সামনে আমরা ভারতের সাথে টি-টোয়েন্টি খেলবো। আরেকটু ভালো করতে পারলে তো ভালো লাগতো। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে এটা আসলে একটু কঠিনই। সে জায়গা থেকে একদম অখুশি না তবে আরও ভালো করার জায়গা ছিল।’