

জাতীয় দলে অভিষেকটা হয়েছিল পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হিসেবে। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে ওয়ানডে অভিষেকেই ব্যাট হাতে ৩৬ রানের পাশাপাশি বল হাতেও দুই উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর নিয়মিতই মাহমুদউল্লাহ বল হাতে দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন।
কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরেই কোন এক অজানা কারণে অধিনায়ক রিয়াদের হাতে বল তুলে দিতে চাননা। তিন বছর পর জাতীয় লিগ খেলতে নেমে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ম্যাচে (দুই ইনিংস মিলিয়ে) নিয়েছেন ৬ উইকেট।
ব্যাট হাতেও এক ইনিংসে সুযোগ পেয়ে ৬৩ রান করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। চট্টগ্রামের দুই ইংসেই প্রথম তিন উইকেট মাহমুদউল্লাহর যা প্রমাণ করে বল হাতে জাতীয় দলকে রিয়াদের দেওয়ার ছিল অনেক কিছুই। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রিয়াদ জানিয়েছেন বল করতে সবসময়ই থাকেন মুখিয়ে, এমনকি ম্যাচে বল করতে পারাটা তাকে আত্মবিশ্বাসীও করে তোলে।
ওয়ানডেতে ১৮৫ ম্যাচে ১৩৪ ইনিংস বল করার সুযোগ পেয়েছেন রিয়াদ, তাতে উইকেট ৭৬ টি। ২০১৪ সালের পর পুরো ১০ ওভারের কোটা পূরণে রিয়াদকে অধিনায়ক ব্যবহার করেছেন মাত্র দুইবার। টেস্টে ৬৩ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৪৩ টি, টি-টোয়েন্টিতে যা ৫৩ ইনিংসে ৩১ । এমন পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে নিয়মিত বল করার সুযোগ পেলে হয়তো দলের জন্য বাড়তি কিছু হতে পারতো রিয়াদের অফ স্পিন।
মিরপুরে জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বল করে ৫৫ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে জমে যাওয়া-তামিম পিনাকের শতরানের জুটি ভেঙে রিয়াদের আঘাত হানা শুরু। পরের বলেই মুমিনুলকে ফিরিয়ে জাগান হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। ১৩ ওভারে ২৫ রান খরচায় আবারও ইনিংসে তিন উইকেট।
নিজের বোলিং আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে রিয়াদ জানান, ‘আমি বোলিংটা সবসময় করতে চাই। আমার মনে হয় এটা আমাকে অতিরিক্ত একটি সুবিধা বা আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে।’
চোট কাটিয়ে ফিরে ভালো বোলিং অনুশীলন হয়েছে উল্লেখ করে রিয়াদ আরও যোগ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে মাঝখানে আমার কাঁধের ইনজুরি থাকায় সাত মাসের মতো বোলিং করতে পারিনি। আমি কিছু ওভার বোলিং করতে চাইছিলাম। বোলিং করতে হয়েছে আমাকে, আমার বোলিং প্র্যাকটিসটাও ভালো হলো। আমিও চাচ্ছিলাম যেন যত বেশি ওভার বোলিং করা যায়। এটাই আসলে মূল উদ্দেশ্য ছিল। ‘