

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর লঙ্কা সফরেও একদিনের সিরিজে ধবলধোলাই বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও নাকানি চুবানি খেয়ে হার, ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফাইনালে ওঠার আগেও আফগানদের বিপক্ষে হেরেছে আরেক দফায়। জাতীয় দলের এমন বিপর্যস্ত চেহারায় ক্রিকেটাঙ্গনে বাজছে করুণ সুর।
ভক্ত-সমর্থকদের সাথে বিশ্লেষকরাও আছেন কারণ উদঘাটনের তদন্তে, প্রস্তুতি চলছে সামনের দিন গুলোতে সুদিন ফেরানোর। এমন সময়েই লঙ্কা সফরে একদিনের সিরিজ জিতে ফিরলো ‘এ’ দল। দেশের ক্রিকেটে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বিশ্বাস ‘এ’ দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের।
জাতীয় দলের বাইরে অনূর্ধ্ব-১৯ ছাড়া বয়সভিত্তিক দলগুলোও খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখছিলনা সাম্প্রতিক সময়ে। ঘরের মাঠে ইমার্জিং দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। ভারতে অনূর্ধ্ব-২৩ দল হেরে এসেছে ৪-১ ব্যবধানে। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দল হেরেছে ঘরের মাঠে চারদিনে ম্যাচ সিরিজ, একদিনের সিরিজও বৃষ্টির কল্যাণে হয়েছে কোনমতে ড্র।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল (১২ অক্টোবর) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে ৯৮ রানে (ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে) হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যে দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ই আছে জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা। ফলে এই সিরিজ জয়কে স্বস্তি ফেরানো জয় বলছেন অধিনায়ক মিঠুন। আজ (১৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান জানান, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ ছিল। কারণ আমাদের মধ্যে যে জিনিসটি কাজ করেছে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সময়টা সবমিলিয়ে এখন ভালো যাচ্ছে না। আমাদের সবার একটা ব্যাপার ছিল যে কিছু একটা করি যেন ক্রিকেটের মোমেন্টামটি আবার ফিরে আসে।’
‘জাতীয় দল না হোক, ‘এ’ দল তো জাতীয় দলের পরেই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যদি আমরা ওদের মাটিতে জিততে পারি তাহলে এটা আমাদের জন্য অবশ্যই অনেক বড় পাওয়া হবে। সবাই সবার দিক থেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সবার সৎ প্রতিশ্রুতির কারণেই হয়তো ফলাফলটি পাওয়া গেছে।’