

‘এ’ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর পর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স সামনে থেকে দেখতে গিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। চারদিনের ম্যাচ দুটো ড্র হলেও একদিনের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
গতকাল (১২ অক্টোবর) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন সাইফ হাসান। তবে নির্বাচকরা সামনে ছিলেন বলেই আলাদা গুরুত্ব নিয়ে ম্যাচ খেলেননি বলে জানান সাইফ হাসান, যেখানেই খেলেন কেবল রান করার তাড়না থাকে বলেন সাইফ।
আনঅফিসিয়াল একদিনের সিরিজ জিতে আজ (১৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে গড়েছেন এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (৮১৪)। শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নয়, যখন যেখানেই খেলতে নামেন রান করাটাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন । ইমার্জিং দলের হয়ে ঘরের মাঠেও ছিলেন রানের মধ্যে, ভারত সফরে কিছুটা খারাপ খেললেও লঙ্কা সফরেই আবার ব্যাট হাতে স্বরুপে সাইফ।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? সাইফ বলছেন, ‘সুযোগ পাওয়াটা সম্পূর্ণ নির্বাচকদের উপর নির্ভর করছে। যদি ভালো খেলতে থাকি ইন শা আল্লাহ সুযোগ আসবে। আমার কাজ পারফর্ম করা। চেষ্টা করবো পারফর্ম করে যাওয়ার।’
জাতীয় দলের প্রধান কোচ , পেস বোলিং কোচের পাশাপাশি ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখতে হাজির হয়েছিলেন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। তাদের সামনে নিজেকে প্রমাণের বাড়তি তাড়না ছিল কিনা জানতে চাইলে ২১ ছুঁইছুঁই বয়সের সাইফ বলেন,
‘আসলে প্রত্যেকটি ম্যাচ আমি যেখানেই খেলি সেটাই আমি বেশ গুরুত্ব সহকারে নিই। কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয় এসব ম্যাচ। তেমন কোনো ব্যাপার ছিল না যে নির্বাচকরা আছেন তাই ভালো করতে হবে। যেমন প্রিমিয়ার লিগ যখন খেলেছি তখনও নির্বাচকরা ছিল না কিছু ম্যাচে। তখনও সিরিয়াসলি খেলেছি। প্রত্যেকটি ম্যাচ সিরিয়াসলি খেলি। যখনই ক্লিক হয় তখন ভালো হয়।’
সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরই নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসলে প্রিমিয়ার লিগ থেকে আল্লাহর রহমতে ভালো হচ্ছিলো। সেখান থেকেই নিজের একটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। প্রিমিয়ার লিগে যেমনটা খেলার চেষ্টা করেছি তার পরবর্তী যে টুর্নামেন্টগুলো হয়েছে, শ্রীলঙ্কা সঙ্গে ভালো হয়েছে আল্লাহর রহমতে। আবার ভারতেও কিছু ইনিংস ভালো ছিল। সবমিলিয়ে চেষ্টা করছি নিজেকে পরিবর্তন করার। যে সুযোগটি পাই সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’
যেভাবে পারফর্ম করছেন যেকোন সময় জাতীয় দলের দরজাটা খুলে যেতে পারে। সাইফ নিজেও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নিচ্ছি। চেষ্টা করছি আরো ফিট হওয়ার। ফিল্ডিং, ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি আনার। যখন খেলবো তখনই ঘাটতি বের হবে। সেই ঘাটতি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। যতটা উন্নতি করবো এবং যতটা প্রস্তুত হবো ততো ভালো হবে জাতীয় দলের জন্য।’