

প্রথম ইনিংসে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ৩০ রান করে ফেরা তামিম দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটির আগেই নেন বিদায়। ৬৪ রান পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রাম তামিম-পিনাকের ১০২ রানের জুটির পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জাগান হ্যাটট্রিক এর সম্ভাবনা। বিনা উইকেটে ১০২ থেকে চট্টগ্রাম মুহূর্তেই চার উইকেটে ১০৮ রানে পরিণত হয়।
আগের দিন রেশ আজ চতুর্থ দিন সকালে আর টেনে নিতে পারলনা ঢাকা মেট্রোর জাবিদ-শহিদুল। ৭ উইকেটে ৩৪৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা ঢাকা মেট্রো আজ টিকতে পেরেছে মাত্র ৪.৪ ওভার, দলীয় সংগ্রহে যোগ হয় মাত্র ৫ রান। আহত হয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে নামতে না পারা অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ক্রিজে আসেন শহিদুলের বিদায়ের পর। যদিও লাভের লাভ কিছুই হয়নি তাকে একপাশে রেখেই বিদায় নেয় অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা।
আগের দিন ৮২ রানে অপরাজিত শহিদুল নামের পাশে ১ ও ৮২ রানে অপরাজিত জাবিদ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে যোগ করতে পারেন ৪ রান। আজ ঢাকা মেট্রোর উইকেট তিনটি ভাগাভাগি করে নেন মেহেদি হাসান ও নোমান চৌধুরী। আগের দুইদিন উইকেট শূন্য থাকা মেহেদি আজ তুলে নেন দুই উইকেট। নোমান চৌধুরী জাবিদকে ফিরিয়ে শিকার করেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।
লাঞ্চের আগে ৩১ ওভার ব্যাট করে চট্টগ্রাম কোন উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলে ৯১ রান। ৯৩ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম ফিফটিতে পৌঁছান পিনাক। লাঞ্চে যান ৫১ রান নিয়ে, লাঞ্চের পর অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি পিনাক। ৫৭ রানে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৬ষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে। এরপরের বলেই মুমিনুলকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মাহমুদ উল্লাহ। পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান তামিমকেও।
প্রথম ইনিংসের মত টেস্ট মেজাজেই খেলছিলেন তামিম ইকবাল। লাঞ্চের আগে করেন ৯০ বলে ৩৯ রান। লাঞ্চের পর মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণির শিকার তামিমও। ১১২ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৪৬ রান করে ফিরেন তামিম ইকবাল। রিয়াদের পর উইকেট শিকারে যোগ দেন প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া আরাফাত সানিও। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কণকে ফেরান খালি হাতেই। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৫ রান।