

টানা তিন ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিলো। চতুর্থ ওয়ানডেতে কেবল নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হেরেছিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ শেষ ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া টাইগার যুবারা জিতেছে বড় ব্যবধানে।
৩১৭ রানের বিশাল লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম বলেই হোয়াইটের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শরিফুল ইসলামের বলে তানজিদ হাসান তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৭ম ওভারে আবার আঘাত হানেন শরিফুল। ১৮ রান করা অপর ওপেনার পোমারে ক্যাচ দেন আকবর আলিকে। ৯ম ওভারে নিজের তৃতীয় শিকার তুলে নেন শরিফুল। ৬ রান করে ক্লার্ক ফেরেন আকবর আলিকে ক্যাচ দিয়ে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন লেলম্যান ও অধিনায়ক তাশকফ। মারমুখী লেলম্যানকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ৪৬ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করেন লেলম্যান। লেলম্যানের বিদায়ের পর তাশকফও আর বেশীক্ষণ টেকেননি। ৪২ বলে ৪ চারে ৩৯ রান করে অভিষেক দাসের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
জমে উঠছিলো ম্যাকেঞ্জি ও সান্ডের ৭ম উইকেট জুটি। ৫৭ রানের এই জুটি ভাঙে ৪৭ রান করা ম্যাকেঞ্জিকে রাকিবুল হাসান ফেরালে। শেষমেশ ৪৩.৪ ওভারে ২৪৩ রান করে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। যুবাদের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই শরিফুলের প্রথম ৫ উইকেট শিকার। এছাড়া ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।
এর আগে লিঙ্কনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২০ রান। টানা চতুর্থ ফিফটি পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম আউট হন ৭১ রান করে। ৫৯ বল স্থায়ী ইনিংসে তামিম হাঁকান ১১ টি চার, ২ টি ছক্কা। ফিফটির খুব কাছে যেয়ে ৪৮ রানে আউট হন অপর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
ঠিক ৪৮ রান করে রান আউট হন পাঁচে নামা শাহাদত হোসেন। মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, আকবর আলি, শামীম হোসেনরা বলার মতো রান পাননি। এরপরেও টাইগার যুবারা ৩০০ পার করে ৯ নম্বরে নামা অভিষেক দাসের দাপুটে ইনিংসে। ৩৬ বলে ৬ চারে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ৩১৬/৮ (৫০), তানজিদ হাসান তামিম ৭১, পারভেজ হোসেন ইমন ৪৮, মাহমুদুল হাসান জয় ১৫, তৌহিদ হৃদয় ৮, শাহাদত হোসেন ৪৮, আকবর আলি ১৪, শামীম হোসেন ৮, তানজিম হাসান সাকিব ১০, অভিষেক দাস ৪৮*, রাকিবুল হাসান ১৩*; ক্লার্ক ৬০/১, জ্যাকসন ৭৩/১, তাশকফ ৫৩/১, ডিকসন ৬৬/১, প্রিঙ্গল ৪৮/১, লেলম্যান ১২/২।
নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২৪৩/১০ (৪৩.৪), লেলম্যান ৫৬, ম্যাকেঞ্জি ৪৭, তাশকফ ৩৯; শরিফুল ৮.৪-১-৪৩-৫, তানজিম ৭-১-৩৮-১, অভিষেক ৯-০-৫৮-১, রাকিবুল ১০-০-৫৫-২, শামীম ৮-০-৩৬-১।
ফলাফলঃ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৭৩ রানে জয়ী
৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।