

নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা পর প্রথম দিনের খেলা শুরু হয়েছিলো ফতুল্লাতে। প্রথম দিনে বৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত আলোতে খেলা শেষ হবার আগে ৫১.৫ ওভারে ১৪৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছিলো ঢাকা। ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর রহমান।
আজ দ্বিতীয় দিনে এসে বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান যোগ করেছে ঢাকা। যার ৭৬ রানই করেছেন তাইবুর রহমান। পেতে পারতেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। তবে তেমনটা হয়নি, সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ১৮ তম ফিফটি নিয়েই। ১২৩ বলে ৯ চার, ১ ছয়ে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তাইবুর।
আজ দিনের শুরুতে নাজমুল ইসলাম অপুকে এলবিডব্লিউ করেন ফরহাদ রেজা। ঢাকার রান তখনো ১৫০ এর গন্ডি পার করেনি (১৪৪)। সুমন খানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তাইবুর। ১০ রান করা সুমন খানকে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শফিকুল ইসলাম।
শেষ উইকেটেও ঠিক ৪৮ রান আসে। যেখান শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হওয়া সালাউদ্দিন শাকিলের অবদান মাত্র ৫। সালাউদ্দিন শাকিলকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পান ফরহাদ রেজা।
৭৬.১ ওভারে ২৪০ রান করে অলআউট হয় ঢাকা। আগের দিন ৪ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম ও ৩ উইকেট পাওয়া শফিউল ইসলাম- দুজনের কেউই আজ উইকেটের দেখা পাননি।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই মিজানুর রহমানের উইকেট হারায় রাজশাহী। ১ রান করা মিজানুরকে আব্দুল মজিদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান পেসার সুমন খান। নিজের করা পরের ওভারে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে বোল্ড করেন সুমন খান। কয়েক ওভার পরে চারে নামা অভিষেক মিত্রকেও বোল্ড করেন সুমন।
View this post on Instagram
শক্তিশালী রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের পেসার সুমন খানের ১ম স্পেল- ৭-৫-২-৩!
সুমনের আগুনে প্রথম স্পেলের পর চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন ওপেন করতে নামা অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ও পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম। ১১৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৭৫ রান করে আউট হন মুশফিক। ছয়ে নামা সাব্বির রহমান ১১ রান করে আউট হন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাকির হোসেন ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় বোল্ড হন সালাউদ্দিন শাকিলের বলে। ১৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দিনের বাকিটা সময় আর উইকেট হারাতে দেননি জহুরুল ইসলাম ও ফরহাদ রেজা। ১৮৯ বলে ৪ চারে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জহুরুল ইসলাম, ১৩ বলে ১ চারে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ রেজা।
৪ উইকেট হাতে রেখে ঢাকার চেয়ে ৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে রাজশাহী।