

যেকোন দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোর মুল উদ্দেশ্য থাকে নিজেদের ক্রিকেটার তুলে আনা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ হলেও বিপিএল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্যই আয়োজন করে বিসিবি। আজ (১০ অক্টোবর) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানালেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য মাহবুব আনাম। এ ক্ষেত্রে আসন্ন আসরে বিসিবি কিছু বিষয়ে আনবে বাধ্যবাধকতাও।
এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রধান কারণ ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড় বের করে আনা। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যদি তাদের পজিশন মত ব্যাটিং করতে না পারে তাদের বোলিং দক্ষতায় আমরা যদি সুযোগ করে দিতে না পারি তাহলে এই টুর্নামেন্টের স্বার্থকতাটা কমে যাবে।’
বাংলাদেশে ক্রিকেটের লম্বা সময়ের আক্ষেপ একজন লেগ স্পিনার। তবে এক্ষেত্রে বিসিবির অসচেতনতাকেও অনেক=কে দায়ী করে। এবার নড়েচরে বসেছে বিসিবি অন্তত মাহবুব আনামের কথায় সে ইঙ্গিত, ‘আপনারা জানেন আমরা লেগ স্পিনার খুঁজছি। প্রতিটি দলকে বলে দেওয়া হবে তারা যেন লেগ স্পিনার অবশ্যই খেলায়। কিছু কিছু জায়গায় আমরা বাধ্যবাধকতা আনবো। প্রতিটি দলে একজন লেগ স্পিনার খেলাতেই হবে, এবং তাঁকে চার ওভার বল করানো আবশ্যক করে দিবো।’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম বোলারদের খেলার সুযোগ হয়না। ১৪০ এর বেশি গতিতে বল করতে পারা বোলারের সংখ্যাই যে হাতেগোনা। ব্যাটসম্যানদের পেস সামলানোতে অভ্যস্ত করতে বিপিএলে ভিন্ন উদ্যোগ বিসিবির, ‘আমরা বলে দিবো যেন বিদেশী পেসার আনার ক্ষেত্রে ১৪০ এর বেশি গতিতে বল করাদের অন্তর্ভূক্ত করে। এসবে উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার যে টাকাটা খরচ করবে সেটা উন্নয়নের জন্যই। আর উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই কিছু বাধ্যবাধকতা আনতে হবে। ‘
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপার্জনের বড় একটা অংশ আসে বিপিএল থেকে। তবে এবার বিসিবি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিপিএল আয়োজন করছে বলে আর্থিক দিক বিবেচনয়া কিছুটা শঙ্কায় ক্রিকেটাররা। এ ক্ষেত্রে বিসিবির পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে মাহবুব আনাম জানান, ‘ভালো খেললে টাকাতো যারা ভালো খেলে তাদের পেছনেই দৌড়াবে, সুতরাং আমি মনে করি না ভয় পাওয়ার কিছু আছে। আমরা তাঁদের ও দেশের কথা চিন্তা করে টুর্নামেন্টটা করছি, সম্মানজনক তো অবশ্যই থাকবে।’