

আগামীকাল (১০ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া ২১ তম জাতীয় লিগে এসেছে বেশ কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন। যার মধ্যে কোচ হিসেবে আফতাব আহমেদ, রাজিন সালেহ, তালহা জুবায়েরদের মত তরুণদের নিয়োগ দেওয়াটা অন্যতম। আফতাব ইতোমধ্যে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরব আমিরাত ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ টি-১০ এর বাংলা টাইগার্স দলের।
জাতীয় লিগের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ (৯ অক্টোবর) মিরপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে, জানিয়েছেন জাতীয় লিগের ধারায় আসতে যাওয়া পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চান।
নিজেদের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আগামীকাল (১০ অক্টোবর) মিরপুরে মুখোমুখি হচ্ছে আফতাবের চট্টগ্রাম বিভাগ। ম্যাচের আগেরদিন একাডেমি মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন শিষ্যদের নিয়ে, এরপর দলের পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের আফতাব বলেন,
‘প্রথমেই আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের যারা সাবেক ক্রিকেটার ছিলাম তাদের মাঠে সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমি অবশ্যই কিছুটা রোমাঞ্চিত, এই বছর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের হেড কোচ হিসেবে কাজ করা। আমরা শেষ ৮-১০ বছরে একই জায়গায় আটকে আছি। প্রথম বছর এসে আমি অনেক কিছু করতে পারব না। ইন শা আল্লাহ, চট্টগ্রামকে ঐ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা যেখানে আগে ওরা লিড করেছে।’
জাতীয় লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নিয়মিত, প্রতিবারই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয় খুব কম সময়ই। এ প্রসঙ্গে আফতাব বলেন,
‘অবশ্যই। আমরা পত্রপত্রিকায় অনেক সময় দেখি যে এটাকে পিকনিক লিগ হিসেবে দেখা হয়। বিসিবি এটার পরিবর্তনের জন্যই এতো কিছু পরিবর্তন করেছে। আমরা যেহেতু পেশাদার ক্রিকেটার ছিলাম, সেটা আমাদের মধ্যে অবশ্যই আছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে খেলাকে গুরুত্ব দেয়া। যেটাকে আগে পিকনিক আসর বলা হতো সেটাকে পরিবর্তন করা।’
নিজের ক্রিকেটারদের পেশাদার মানসিকতার তৈরিতে চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে আফতাব যোগ করেন, ‘এটা অনেক বড় ক্ষতি একজন ক্রিকেটারের জন্য, যে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে না নেয়া। চট্টগ্রামে আমরা এটা সবার আগে চেষ্টা করছি যে, পেশাদারিত্ব যেন সবার মধ্যে আসে। এই আসরকে গুরুত্বের সাথে নেয়। কেননা আমি, তামিম বা মুমিনুল- সবাই কিন্তু এই জাতীয় লিগ খেলেই দলে জায়গা করে নিয়েছি। তো নতুন দিনের ক্রিকেটারকে আমি এটাই বোঝাতে চাই যে আমাদের যেমন জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ হয়েছে এখান থেকে, সেটা কিন্তু তোমাদেরও হতে পারে। এটা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।’
কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই আফতাব জানিয়েছেন খেলোয়াড়ি জীবনের খাম খেয়ালিপনা আনতে চাননা কোচিংয়ে, পৌঁছাতে চান শীর্ষ পর্যায়ে। আজও (৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের জানালেন প্রায় একই কথা,
‘আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখন আমার লক্ষ্য ছিল, জাতীয় দলে খেলব। এখানে যখন কাজ করছি, তখন দলটাকে শেষ দল হিসেবে দেখতে চাই না। আমি যখন ক্রিকেট খেলেছি, তখন লড়াকু মানসিকতা নিয়েই খেলেছি। জানি না কতটুকু খেলেছি। এটা কোচিং পেশা বা যেখানেই কাজ করি না কেন সেখানেই থাকবে। আমি শতভাগ চেষ্টা করব। জানি না ফলাফল কি হবে। কিন্তু আমার চেষ্টা পুরোপুরিই থাকবে এখানে।’