

সাধারণত আন্তর্জাতিক সিরিজ ছাড়া মিরপুর শেরে-বাংলায় ট্রফি উন্মোচনের দৃশ্য দেখা যায় কালে ভদ্রে। বছর কয়েক আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে একবার ট্রফি উন্মোচন করেছিল চার দলের অধিনায়ক। আজ (৯ অক্টোবর) মিরপুরে উন্মোচিত হল জাতীয় লিগের ট্রফি, উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক।
আগামীকাল (১০ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় লিগের ২১তম আসর। মিরপুরে মুখোমুখি হবে টায়ার-২ এর দল ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগ। ট্রফি উন্মোচনের পর টুর্নামেন্ট নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে বলতে গিয়ে চট্টগ্রাম অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘এবার লক্ষ্য টায়ার-১ এ যাওয়া, এরপর আস্তে আস্তে পরেরবার অন্য কিছু নিয়ে ভাববো। ভালো ক্রিকেটই আসলে খেলতে চাই। আর ব্যাখ্যা করতে গেলে বলতে হয় আমাদের যে দল, তামিম ভাই আছে। ভালো মানের কিছু ব্যাটসম্যান, বোলার বিশেষ করে নাইমের মত স্পিনার। আশাকরি ভালো কিছুই হবে।’
অনেকদিন পর জাতীয় লিগে দেখা যাবে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের। চট্টগ্রামের হয়ে মাঠ মাতাবেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিমের কাছে অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের প্রত্যাশা কি জানতে চাইলে বলেন, ‘না তামিম ভাইয়ের কাছে প্রত্যাশ বেশি নয়। প্রত্যাশা বেশি হলে সমস্যা। উনি উনার যতটুক খেলার সামর্থ্য সেটা দিলেই হবে। আর যেদিন উনি খেলবেন সেদিন অন্য কারও কিছু করা লাগবেনা এটা আমিও জানি আপনারাও জানেন।’
ফিটনেস নিয়ে শক্ত অবস্থান৷ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ মিলিয়ে জমজমাট এনসিএলের ইঙ্গিত। মুমিনুল নিজে কি মনে করছেন? এমন প্রশ্নে এই টেস্ট তারকা জানান, ‘হ্যা এবার সবকিছু যেভাবে এগুচ্ছে আমার মনে হয় ভালো কিছু হবে। এবার ফোকাসটা অনেক দিকেই থাকবে, আপনারাও আছেন (মিডিয়া)। আশা করি জাকজমকপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট হবে, প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট হবে বলে আশাবাদী।’
ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে চার দিনের ম্যাচ খেলার গুরুত্ব তুলে ধরে মুমিনুল হক যোগ করেন, ‘চারদিনের ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, আপনি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে গেলেও এটা বেশ কাজে দেয়। আমি যেমন টেস্ট খেলি তাই এনসিএল, বিসিএল বলেন চারদিনের কোন ম্যাচই আমি মিস দেইনা। প্রস্তুতিটা আপনার নিজের উপর আপনি যদি গুরুত্বের সাথে নেন তবে এখানেই ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। আর যদি মনে করে হেলাফেলা করে এনসিএলটা কাটিয়ে দিবেন তাহলেতো আর হবেনা।’