

এবার কলপ্যাক চুক্তিতে দুই বছরের জন্য ইংলিশ কাউন্টি দল সারে’র সাথে যুক্ত হচ্ছেন হাশিম আমলা। সারে’র সাথে যুক্ত হওয়ার আগে মিডলসেক্স ও হ্যাম্পশায়ারের সাথেও আলাপ চলছিল আমলার প্রতিনিধির। প্রোটিয়া পেসার ওলিভিয়ার ও বার্বাডোস ক্রিকেটার মিগুয়েল কামিন্সের পর চলতি বছরে এটি তৃতীয় কলপ্যাক চুক্তি।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শেষে গত আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী আমলা। ফলে কলপ্যাক চুক্তি খুব একটা প্রভাব ফেলবেনা এই প্রোটিয়া তারকা ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে। নিয়মানুসারে কলপ্যাক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া ক্রিকেটাররা খেলতে পারবেন না নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ইংলিশ কাউন্টির অফ সিজনে শর্তসাপেক্ষে খেলা যাবে নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট।

কলপ্যাক চুক্তিকে বলা হয়ে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিশাপ। বলার পেছনে কারণও স্পষ্ট, আমলাসহ কলপ্যাক চুক্তি করা ৬৫ জন ক্রিকেটারের ৪৫ জনই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। ২০০৪ সাল থেকে ইংলিশ কাউন্টিতে কলপ্যাকে ক্রিকেটারদের যুক্ত হওয়া শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা এ চুক্তির অংশ হতে পারে।
শন পোলক, চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট, নেইল ম্যাকেঞ্জি, রাইলি রুশো, কাইল অ্যাবট, ফাফ ডু প্লেসিস, মরনে মরকেলের মত প্রোটিয়া তারকারাও কলপ্যাকের অংশ হয়েছেন বিভিন্ন মেয়াদে। তারকা ক্রিকেটাররা ছাড়াও উঠতি অনেক ক্রিকেটারই দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের চাইতে কলপ্যাককেই আর্থিকভাবে শ্রেয় মনে করে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। ফলে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট, যার সবশেষ উদাহরণ পেসার ডুয়েন ওলিভিয়ার, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হুট করেই জানিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান জার্সি নয় কলপ্যাকেই আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। অথচ জুলাইয়ের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তার জায়গা পাওয়াটাও ছিল অনেকটা নিশ্চিত।
ইংলিশ কাউন্টির আসন্ন মৌসুমে ওপেনার ররি বার্নস, ওলি পোপ ও স্যাম কুরানকে নিয়মিত পাবেনা সারে। ফলে স্থায়ী সমাধান হিসেবে হাশিম আমলাকেই বেছে নেয় দলটি। যেখানে সতীর্থ হিসেবে সাবেক প্রোটিয়া সতীর্থ মরনে মরকেলকেও পাচ্ছেন। দলটির নেতৃত্ব ভার থাকছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার কাঁধে।